“আত্মসমীক্ষা দরকার”— দিলীপ ঘোষ

কলকাতা, ২ মে (হি স)। বিধানসভার ভোটের প্রচারে এসে ২০০ আসন পাবে বারবার দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভোটের আগে তো বটেই, ভোটের পরেও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জোর দিয়ে দাবি করেছিলেন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। কিন্তু বাংলায় বিজেপির ফলাফল নিয়ে হতবাক বিজেপি নেতৃত্ব।
কয়েক মাস ধরে ক্রমেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ। যা তুঙ্গে উঠেছিল রবিবারের সকাল হতে না হতেই। বাংলা তো বটেই, বলতে গেলে গোটা দেশই তাকিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের দিকে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্টতই জানালেন, এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি বহু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন দিলীপ।


গত বছরের পুজোর সময় থেকেই তথাকথিত বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতানেত্রীদের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া শুরু হয়। এবছরের শুরু থেকেই দলবদলের গতি আরও বাড়ে। শাসক দল থেকে এতজনকে পাওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত এই ফলাফল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু জানান, ”তৃণমূল থেকে যাঁরা এসে টিকিট পেয়েছিল, তাঁদের মানুষ কীভাবে নিয়েছে, কেনই বা গ্রহণ করল না তা আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।” সেই সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসের ভোট পুরোটাই তৃণমূল পেয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।


গত ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমেই বেড়েছে বিজেপির প্রচারের মাত্রা। ভিড় উপচে পড়েছে জনসভা কিংবা রোড শোয়ে। এপ্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, কেন প্রচারের সময় মানুষের কাছ থেকে এমন বিপুল সাড়া পেয়েও ফলাফল আশানুরূপ হল না, সে বিষয়টা আলোচনা করে দেখবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ”কলকাতা ও বেশ কিছু জেলায় ফল খারাপ হয়েছে, পুরো বিষয়টা নিয়েই আমরা পর্যালোচনা করব। ”


অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও তিন অঙ্কে পৌঁছতে না পারা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরিষ্কার উত্তর, ”আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপির যে ইস্যুগুলি ছিল সেগুলিও মানুষের কাছে কতটা পৌঁছেছে সেটাও দেখতে হবে।” তবে বিষণ্ণতার মধ্যেও তাঁর মন্তব্য, ”আমরা বহু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি।”
এদিকে, দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য,  ”জয় হলে মমতার জয়। কিন্তু বিজেপির নিশ্চিত আসনে কেন হার, সেটা আশ্চর্যের বিষয়। বাবুল, লকেট, রাহুলদের এই ফল আশ্চর্যজনক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *