আম্মান, ৪ এপ্রিল (হি.স.) : জর্ডনের যুবরাজকে গৃহবন্দি করল দেশের সেনা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতাসীন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাকে গদিচ্যুত করার চক্রান্ত করেছেন তিনি। কেবল যুবরাজ হামজা বিন হুসেইনিই নয়, আরও ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রয়াত নবাব হুসেইনি ও তাঁর মার্কিন বংশোদ্ভূত স্ত্রী নুরের ছোট ছেলে হামজা। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লার সৎ ভাই তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আবদুল্লার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হামজার দাবি, সেই মন্তব্যের প্রতিশোধ নিতেই তাঁকে তাঁর আম্মানের বাড়িতে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জর্ডন সেনা অবশ্য এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, একটি বড় চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন হামজা। কেবল তিনিই নন, জর্ডনের রাজ পরিবারের আরও এক সদস্য, আদিবাসী নেতা ও দেশের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও হাত মিলিয়েছেন বর্তমান রাজাকে সিংহাসনচ্যুত করতে। এর পিছনে বিদেশি শক্তিরও হাত দেখছে জর্ডন সেনা।
শনিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় হামজা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রাজদ্রোহের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তাঁকে চুপ করাতে চাইছে প্রশাসন। হামজার কথায়, ”আমি দেশের সরকারের অধঃপতনের জন্য দায়ী নই। গত ১৫-২০ বছরে দুর্নীতি হোক বা কিংবা শাসন কাঠামোর ব্যর্থতা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।”