নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর (হি. স.): কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী তথা ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির (ই আর সি এস ) সভাপতি ডাঃ হর্ষবর্ধন পুরনো দিল্লির রেলস্টেশনে যাত্রী, রেল কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, কুলিদের মধ্যে মাস্ক(মুখাবরণ) ও সাবান বিতরণ করেন।
করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে মাস্ক পরাটা যে একান্ত জরুরি তার ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সব থেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার (হাতশুদ্ধি)। শীঘ্রই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১১ মাস পূর্ণ হতে চলেছে। নিজেকে এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে স্বচ্ছতা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। মাস্ক এবং সাবান বিতরণের মাধ্যমে একটি বড় বার্তা বৃহত্তর সমাজকে দেওয়া হচ্ছে। করোনা বিধি মেনে চলার জন্য সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার কাজ করে চলেছে। করোনা বিধি যাতে সাধারণ মানুষ মেনে চলে তার জন্য ট্যাক্সি ইউনিয়ন, তিন চাকার যানের ইউনিয়ন, পণ্য বাহকদের ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
ভারতে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের নিরিখে ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার সবথেকে বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য গোটা দেশে কেবলমাত্র একটি পরীক্ষাগার ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৬৫। দৈনিক ১০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা গোটা দেশে হচ্ছে। করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য ভারতের বিজ্ঞানীরা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে। সঠিক সময়ে প্রতিষেধক পাওয়া যাবে। কিন্তু যতক্ষণ না হাতে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত সামান্যতম ভুল করলে চলবে না। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। গোটা বিশ্বের নিরিখে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার কম হলেও একজন মানুষের মৃত্যুও দুঃখজনক। ফলে সাবধানতা বজায় রাখা জরুরি। করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা সকল মানুষের কাছে পৌঁছানো জরুরী।