নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ অক্টোবর৷৷ রাজ্যে শুরু হয়েছে পুজার মরশুম৷ করোনা ৩২৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ দুই শতাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ চিকিৎসক মহল চিন্তিত৷ তাই অবিলম্বে করোনা মোকাবেলয়া টিপিএসসির মাধ্যমে ৩০০ জন চিকিৎসক এবং নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করার দাবী জানিয়েছে অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস এসোসিয়েশন৷ সেই সাথে সংগঠন উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন, সরকার কয়েকজন চিকিৎসক নিয়োগ করেছিলেন চুক্তির ভিত্তিতে৷ তারা চলে গিয়েছেন৷ শারদোৎসবের পর করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে সংগঠন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে৷
সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যে শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে অসাবধানতা বেড়ে চলেছে৷ লকডাউন শিথিল হওয়া মানে এটা নয় করোনা মুক্ত হয়ে গেছে রাজ্য৷ পুজার বাজারে এবং সপিং মলে ভিড় বাড়ছে৷ এতে সংক্রমন ভয়াবহ হওয়ার সম্ভবনা প্রবল৷
কারণ বিশ্বকর্মা পুজার পর রাজ্যে করোনা গ্রাফ বেড়েছিল৷ বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আছে৷ দুর্গাপুজাতে যদি জনগণ করোনা নিয়ে গাফিলতি হয়ে ফাস্ট ফুড, রেস্টুরেন্ট এবং রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাহলে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে৷ কারন রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্য কর্মীর সংখ্যা সীমিত৷ রাজ্যে সংক্রমণ বিস্তার লাভ করলে পরিষেবা প্রদান করা অসাধ্যকর হয়ে পড়বে৷ তাই সচেতনভাবে পুজার দিনগুলিতে ঘরে বসে আনন্দ উপভোগ করা, নয়তো পুজার একদিন দিনের বেলা দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজা উপভোগ করুন৷ কাবণ রাজ্যে যদি এই ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নেয় তাহলে পরিষেবা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে৷
বুধবার আগরতলা প্রেস এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অল ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট ডক্টরস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রাজেশ চৌধুরি৷ তিনি এই দিন বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান রাজ্যে সীমিত চিকিৎসক হওয়াতে গ্রামাঞ্চলে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেকটা সমস্যা হচ্ছে৷ তাই ইতিমধ্যে রাজ্যে এডহক প্রক্রিয়ায় তিন শতাধিক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের দাবি জানান৷ এছাড়াও উপসিত ছিলেন ডাঃ কনক চৌধুরি৷