BRAKING NEWS

আবারো কদমতলা থানার বড়োসড়ো সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১০ জুন ৷৷ আবারো কদমতলা থানার বড়োসড়ো সাফল্য৷ গতকাল গভীর রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে কদমতলা থানার পুলিশ ত্রিপুরা ও আসাম সীমান্তের ঝেরঝেরি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চুরির দুটি বাইক উদ্ধার করে৷ ঝেরঝেরি এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকে এই দুইটি বাইক উদ্ধার করে কদমতলা থানার পুলিশ৷

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কদমতলা থানার এস আই অপু দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ উদ্ধারকৃত দুটি বাইক হল নম্বর বিহীন হিরো কোম্পানির কাল রঙের হাংক বাইক এবং সিলভার কালারের একটি গ্ল্যামার বাইক৷বাইক দুটি উদ্ধার করে করমতলা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ৷ তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ৷ এদিকে কদমতলা থানার এসআই অপু দাস জানান, উনারা গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ঝেরঝেরি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া দুটি বাইক উদ্ধার করেছেন৷তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই বাইক গুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চুরি করে আসামে পাচার করার উদ্দেশ্যেই ত্রিপুরা আসাম সীমান্ত এলাকায় রাখা হয়েছিল৷এদিকে উল্লেখযোগ্য যে, গোটা উত্তর জেলায় বাইক চুরির হিড়িক৷ প্রতিদিন কারো না কারোর বাইক চুরি করে নিয়ে যেতো চোরের দল৷ একপ্রকার পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই চোরের দল এই চুরি কান্ড সংঘটিত করে আসছিল৷

কিন্তু পুলিশ প্রশাসন চোরের টিকির নাগাল পায়নি এতদিন৷ গত ২রা জানুয়ারি কদমতলা থানার কাছে লিখিত একটি বাইক চুরির অভিযোগ আসে৷কদমতলা থানার পুলিশ ২৮/৩৭৯ ধারায় একটি চুরির মামলা হাতে নিয়ে তদন্তে নামে৷ তারপর কদমতলা থানার পুলিশ সন্দেহভাজন চুরাইবারি মিলন দেব নামের এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে বাইক চুরি চক্রের সাথে রাজ্যের ও বহি রাজ্য অসমের অনেক যুবক জড়িত রয়েছে৷ তারপর আটক করা হয় কদমতলার প্রসেনজিৎ পাল নামের এক যুবককে৷ তাদের কাছ থেকে আটক করা হয় নাম্বার বিহীন সুপার স্ফেন্ডার দুইটি বাইক৷ তারপর ঐ দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে ধর্মনগর শহর থেকে কিছু বাইক চুরি হয়েছিল৷ এমনকি ধর্মনগর থানায় ৫৫/৩৭৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা রয়েছে৷আর সেই চুরি চক্রের সাথে জড়িত রাজ্যের চুরাইবারি ও বহি রাজ্য অসমের কাঠালতলির কিছু যুবক৷ তারপর ধর্মনগর থানার পুলিশ চুরাইবারি থেকে হাসান আলি নামের এক যুবক ও অসমের কাঠালতলী থেকে পারুল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়৷এমনকি পারুলের বাড়ি থেকে একটি সুপার স্ফেন্ডার ও একটি গ্ল্যামার বাইক উদ্ধার করে ধর্মনগর থানার পুলিশ৷ অপরদিকে কদমতলা থানার পুলিশ সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের দ্বিগবিজয় নাথ নামের এক কুখ্যাত বাইক চোরকে আটক করতে সক্ষম হওয়ার পর গতকাল গভীর রাতে আরও দুটি চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার করলো কদমতলা থানার পুলিশ৷

এক কথায় গোটা উত্তর জেলা জুড়ে এই বাইক চুরি চক্রের বিশাল একটি চক্র রয়েছে যা বহিঃ রাজ্য আসামের সাথে যুক্ত রয়েছ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে থেকে বাইক চুরি করে আসামে পাচার হয়ে আসছিল৷ইদানিংকালে কদমতলা থানার পুলিশ বাইক চুরির তদন্তে নেমে চুরি হওয়া ৪টি বাইক সহ তিন কুখ্যাত বাইক চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে৷পাশাপাশি ধৃত চোরদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো অনেক নাম উঠে এসেছে যা তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মুখ খুলেনি৷তবে এটা প্রশংসনীয় যে, কদমতলা থানার পুলিশ বাইক চুরির তদন্তে নেমে উত্তর জেলার বাইক চুরি চক্রের সাথে জড়িত কিছু যুবক ও অসমের কাঠালতলীর কুখ্যাত বাইক চুরি চক্রের সাথে জড়িত এক যুবককে আটক করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাইকও উদ্ধার করেছে৷ কিন্তু পুলিশ এই বাইক চুরি চক্রের মূল পান্ডাদের শনাক্ত করে পাকড়াও করতে কতটুকু সক্ষম হয়, নাকি আদাজল খেয়ে মাঝ পথেই তদন্ত শেষ হয় পরে সেটাই এখন দেখার বিষয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *