BRAKING NEWS

রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট শেষ কথা নয়, পশ্চিম আসনে পুনঃ ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে : সিইও

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল৷৷ পশ্চিম আসনে ভোটে রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্টই যথেষ্ট নয়৷ ভোট প্রক্রিয়ায় অনেক বিষয় খতিয়ে দেখতে হয়৷ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারীক শ্রীরাম তরুনীকান্তি৷ তাঁর কথায়, ওয়েব কাস্টিং এবং ভিডিও ফুটেজে ভোট প্রক্রিয়ায় কিছু গন্ডগোল ধরা পড়েছে৷ কিন্তু, পুনঃ ভোটের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়৷ প্রিসাডিং অফিসার থেকে শুরু করে মাইক্রো অবজারভারদের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করার পর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷

অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারীককে পশ্চিম আসনে রিটার্নিং অফিসার ড. সন্দীপ মাহাত্মের লেখা চিঠিকে ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ কারণ, ওই চিঠিতে পশ্চিম আসনের রিটার্নিং অফিসার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন৷ তাতে ৪৩৩টি বুথে ভিডিও গ্রাফি নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছে৷ পশ্চিম আসনের রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৭৯টি বুথে ৯ ঘন্টার কম ভিডিও গ্রাফি হয়েছে৷ এছাড়া ৫৪টি বুথে ভিডিও ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে৷ তাতেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চরমে উঠেছে৷

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০টি বুথে কোনও ক্যামেরা বসানো হয়নি৷ ১৫টি বুথে ক্যামেরা বসানো হলেও তা ভেঙে পড়েছিল এবং পুনরায় লাগানো হয়নি৷ একটি বুথে ক্যামেরা পরে ভেঙে গিয়েছে৷ ৬টি বুথে অপারেটর নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার আগেই ক্যামেরা খুলে নিয়েছে৷ ৫টি বুথে একাধিকবার ক্যামেরা খুলে মাটিতে পড়েছে৷ ৩টি বুথে অপারেটর ক্যামেরার অবস্থান বদল করেছে৷ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল ১টি বুথে ক্যামেরা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল৷ তাছাড়া, ৮টি বুথে অন্যান্য গড়মিল ধরা পড়েছে৷ পশ্চিম আসনে রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৫টি বুথে নির্বাচন চলাকালীন গড়মিল প্রমাণিত হয়েছে৷ তবে, ৩৬৮টি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার এবং মাইক্রো অবজারভারদের রিপোর্ট অনুযায়ী অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা ঘটেনি৷

এই রিপোর্টকে ঘিরেই বিরোধী শিবিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এই রিপোর্টেই প্রমাণিত পশ্চিম আসনে ভোটে কারচুপি হয়েছে৷ পশ্চিম আসনে রিটার্নিং অফিসার তার রিপোর্টে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন৷ ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভিডিও ফুটেজে সবচেয়ে বেশি অনিয়মের কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে৷ এছাড়া খয়েরপুর, মজলিশপুর, বিশালগড়, ধনপুর এবং রামনগরে অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় বেশি অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কেবলমাত্র বনমালীপুর কেন্দ্রে এমন কোনও অনিয়মের বিষয়ে রিপোর্টে উল্লেখ করেননি পশ্চিম আসনের রিটার্নিং অফিসার৷

এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারীক শ্রীরাম তরুনীকান্তি জানিয়েছেন, রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট পুনঃ ভোটের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়৷ তাঁর কথায়, পুনঃ ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসারদের ডাইরি এবং মাইক্রো অবজারভারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়৷ রিটার্নিং অফিসারের রিপোর্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসার ও মাইক্রো অবজারভারদের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করার পর কমিশন পুনঃ ভোট নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷ তিনি জানান, প্রায় ৭০০ বুথে একই অভিযোগ একাধিক জমা পড়েছে৷ সেক্ষেত্রে ওই অভিযোগ গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সহজ হবে৷ তিনি আরও জানান, ভিডিও গ্রাফির বরাত যাদের দেওয়া হয়েছে বুথে অনিয়মের জন্য তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *