BRAKING NEWS

ভারতের কঠোর অবস্থানের ফলে সন্ত্রাসবাদীরা ভয় পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

কানপুর, ৮ মার্চ (হি.স.): সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থেকে যে সরে আসবে না কেন্দ্রীয় সরকার, শুক্রবার কানপুরের জনসভা থেকে তা ফের বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামরিক অভিযানের ফলে সন্ত্রাসবাদীরা ভয় পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কানপুরের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা রক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্র খুবই সতর্ক। কিন্তু, গোটা দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখাটা একান্ত জরুরী। বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গি দমনের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে দেশকে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান সময়ে ঐক্যবদ্ধতাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে কিছু শক্তি রয়েছে যারা মোদীকে শেষ করে দেওয়ার জন্য স্লোগান দিচ্ছে কিন্তু আমরা সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। নির্বাচন আসবে যাবে কিন্তু দেশের শত্রুরা যাতে সুবিধা না পায় তা দেখার দায়িত্ব প্রত্যেক ভারতবাসীর। এমন ধরণের মন্তব্যের ফলে পাকিস্তান সুবিধা পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় সেনা জওয়ানদের বীরত্বকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানকে যারা তুষ্ট করে চলছে তাদের দেশবাসী ক্ষমা করবে না। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গোটা বিশ্ব পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু কিছু লোকের এমন মন্তব্যের ফলে সুবিধে পাচ্ছে পাকিস্তান। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের উপর চাপ বৃদ্ধি প্রতিক্রিয়া দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

লখনউতে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীর উপর নিগ্রহ প্রসঙ্গে সরব হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, সম্প্রতি লখনউতে একটি ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সমস্ত রাজ্য সরকারের উচিত এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। ঐক্যবদ্ধ, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সম্প্রীতির পক্ষে গোটা দেশ। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের কঠোর মনোভাব দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসবাদী নেতারা ভয় পেয়েছে।

এদিন কানপুরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রুগ্ন পাঙ্কি তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি উত্তরপ্রদেশের আগের সরকার। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন উইনিটের জন্য ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি আগত জনতাকে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যে ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত দেশবাসীর নিজস্ব বাড়ি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *