ইমফল (মণিপুর), ৪ জানুয়ারি, (হি.স.) : যে উত্তরপূর্বকে নেতাজি সুভাষ বসু স্বাধীনতার গেটওয়ে বলেছিলেন, আমি তাকে নতুন ভারতের বিকাশের দুয়ার হিসেবে গড়ার প্ৰয়াস করছি। নেতাজি মণিপুরের মইরাঙে এসে আজাদ হিন্দ-এর স্থাপন করেছিলেন। এই অঞ্চলের গুরুত্ব কোনও অংশে যে কম নয় তা অনুভব করেছিলেন নেতাজি সুভাষ। পূর্ব ইমফলের হাপ্তা কাংজেইবুঙে এক গণসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নাম না ধরে কংগ্রেসকে ঠুকে প্রদত্ত ভাষণে মোদী বলেন, পূৰ্ববর্তী সরকার উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে কী করেছিল তা সকলেই দেখেছেন। এঁরা এখানকার মানুষজনের সঙ্গে দিল্লির দূরত্ব বাড়িয়েছিল। বাজপেয়ীজির আমল থেকে পূৰ্বোত্তরের বিকাশ শুরু হয়েছে। তাঁর সরকার দিল্লিকে উত্তর-পূর্বঞ্চলের দুয়ারে এনেছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে চার বছরে ৩০ বার উত্তর–পূর্বাঞ্চলে এসেছেন। এখানকার জনতার সঙ্গে মিশে অন্য এক সুখানুভব করেন। মোদী বলেন, ‘এখন উন্নয়ন এবং আপনাদের অসুবিধাগুলোর রিপোৰ্ট কাৰ্ড কোনও আধিকারিকের কাছ থেকে নেওয়ার প্ৰয়োজন হয় না। কারণ এই রিপোৰ্ট কাৰ্ড আপনাদের কাছে এসে আমি নিজেই বুঝি। এটাই অতীত এবং সাম্প্রতিক সরকারের পাৰ্থক্য।’
এর আগে আটটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলির মধ্যে অন্যতম ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ১.২৫ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নির্মীয়মাণ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি), ১.৫০০ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নির্মীয়মাণ দলাইথাবি ড্যাম, পাওয়ারলুম এস্টেট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন দলের মণিপুরের প্রভারী নলিন এস কোহলি, উত্তরপূর্বের সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় জামুয়াল প্রমুখ কেন্দ্রীয় এবং প্রদেশ নেতারা। রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ইয়ুমনাম জকুমার সিংহ।