নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যে নয়া পাঠ্যক্রম চালু হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঠ্যবই কিনতে ছাত্র ছাত্রীদের কিছুটা কম টাকা খরচ হবে৷ নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্যবই কিনতে হয়৷ গত বছর গড়ে নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রকে সমস্ত পাঠ্যবই কিনতে ১০৭১ টাকা খরচ করতে হয়েছে৷ কিন্তু, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এনসিইআরটির সিলেবাস চালু হওয়ার কারণে নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রকে সমস্ত পাঠ্যবই কিনতে খরচ করতে হবে ৯৪৮ টাকা৷ আরও একটি বিষয় হল, গত বছর নবম শ্রেণীতে নয়টি পাঠ্যবই কিনতে ১০৭১ টাকা খরচ করতে হত৷ কিন্তু, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এনসিইআরটির সিলেবাস অনুসারে ১১টি পাঠ্যবইয়ের জন্য খরচ করতে হবে ৯৪৮ টাকা৷ শুক্রবার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ তিনি এদিন পাঠ্যবইয়ের নয়া মূল্য সংক্রান্ত বিষয়টিতে সিলমোহর দিয়েছেন৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, রাজ্যে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হয়৷ নবম শ্রেণী থেকে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্যবই কিনতে হয়৷ গত শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণীতে নয়টি বিষয়ের পাঠ্যবই ক্রয় করতে ১০৭১ টাকা খরচ করতে হয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের৷ কিন্তু, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে নয়া পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে৷ এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম অনুসারে নবম শ্রেণীতে ১১টি বিষয় রয়েছে৷ ওই ১১টি বিষয়ে পাঠ্যবই কিনতে ছাত্র ছাত্রীদের জনপ্রতি ৯৪৮ টাকা দিতে হবে৷ তাতে, নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রের ১২৩ টাকা সাশ্রয় হবে৷ তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা বজায় রাখলে তার সুফল মিলবেই৷ রাজ্যে পাঠ্যবইয়ের মূল্য হ্রাস পাওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবলম্বনকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
এদিন তিনি জানান, বিদ্যালয়গুলিতে পাঠ্যবই বিতরণে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না৷ সর্বশিক্ষা এবং সমগ্র শিক্ষা অভিযানে বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ অতীতে খরচ হত না৷ ফলে সেই টাকা ফেরত চলে যেত৷ এখন ওই টাকায় সুকল গুলিতে পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে৷
এদিকে, রাজ্যে নয়া পাঠ্যক্রম নিয়ে ২৮৪ জনকে মাস্টার ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়েছে৷ এনসিইআরটির ডিরেক্টর এই ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন৷ রাজ্যের আটটি জেলা থেকে শিক্ষক – শিক্ষিকারা এই ট্রেনিংয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন৷