মুম্বই, ১৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিখ বিরোধী হিংসায় আদালতের রায় নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার বছর আগেও কেউ ভাবেনি শিখ বিরোধী হিংসায় দোষীসাব্যস্ত কোনও কংগ্রেস নেতা সাজা পাবে আর সাধারণ মানুষ বিচার পাবে।
সোমবার ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দোষীসাব্যস্ত সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করে আদালত। আর এরপরেই বিজেপি এবং তার জোট শরিক শিরোমণি আকালি দল কমল নাথের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠে। ওদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, এমন দিনে এই রায় ঘোষণা হল যখন শিখ সমাজ যে দ্বিতীয় নেতাকে দোষী মনে করে তাকে (কমল নাথ) কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর পদের শপথ নেওয়ালো, যা দুঃখজনক। শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল বলেন, অবশেষে বিচারের চাকা চলতে শুরু করল। আজ সজ্জন কুমারের সাজা হয়েছে। কাল জগদীশ টাইটেলার। তারপর কমল নাথ। সব শেষে গান্ধী পরিবার। একে একে সবার সাজা হবে। বিগত ৩৪ বছর ধরে সজ্জন কুমার, টাইটেলার, কমল নাথকে বাঁচানোর সমস্ত রকমের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবার। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে শিখ বিরোধী হিংসা, রাফাল চুক্তি নিয়ে পাল্টা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসায় দোষীসাব্যস্ত কোনও কংগ্রেস নেতা যে সাজা পাবে তা চার বছর আগে সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারত না। পাশাপাশি রাফাল প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি মনস্তাত্তিক বিষয়। সরকারী অধিগ্রহণ নিয়ে যখন কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তখন মনে করা হয় দুর্নীতি রয়েছে। কিন্তু এই প্রথমবার কেউ আদালতে দ্বারস্থ হল। আর আদালত সরকারের পক্ষে রায় দিল। আসলে প্রক্রিয়াগুলি যখন স্বচ্ছতার সঙ্গে হয় তখন কারও কিছু বলার থাকে না।
অন্যদিকে রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের পক্ষে রায় দিলেও যৌথ সংসদীয় কমিটির নিয়ে দাবি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস।