BRAKING NEWS

৪৮ ঘণ্টার বনধ-এ কোকরাঝাড়ে হিংসা : লরিতে আগুন, মৃত্যু চালকের, অগ্নিদগ্ধ তিন

কোকরাঝাড় (অসম), ২১ নভেম্বর (হি.স.) : ইউনিয়ন টেরিটরি কাউন্সিল (ইউটিসি)-এর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং পৃথক বোড়োল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আহূত ৪৮ ঘণ্টার বনধ-এ হিংসাত্মক ঘটনায় একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি তিনজন আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে হিংসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবরে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট দাবির ভিত্তিতে সারা অসম কোচ-রাজবংশী ছাত্র সংস্থা (আক্রাসু) আহূত বনধ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা থেকে। ইত্যবসরে মঙ্গলবার মধ্য রাতে বিটিএডি-র সদর কোকরাঝাড় জেলার নাড়াবাড়ি এলাকায় ৩১ নম্বর (সি) জাতীয় সড়কে শেরফাংগুড়ি থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মঙ্গলবার রাতে কতিপয় দুষ্কৃতী ১৮ চাকার ময়দা বোঝাই ইউপি ২৫ এটি ৬৩৯০ নম্বরের একটি লরি আটকে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। লরিতে অগ্নিসংযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেনি দুষ্কৃতীরা। তারা লরির চালক, সহচালক এবং দুই খালাসিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। লরিটি উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্য অসমের তেজপুরের উদ্দেশে আসছিল।

মারের চোটে ট্ৰাকচালক সাদ্দাম আলি মারা যান। তাছাড়া লরির অন্য তিন কর্মচারী সহচালক এবং দুই খালাসিকে মেরে গুরুতর ঘায়েল করে। পুলিশ সূত্রে প্ৰকাশ, দুষ্কৃতকারীর দল লরির চালক সাদ্দামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে যখন মারপিট করছিল, তখন তার সহচালক লরিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তার পিছু ধাওয়া করে লরিকে আটকে তার দরজা বন্ধ করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সহচালক নাজিম উদ্দিন, দুই খালাসি সনু আলি এবং মহম্মদ আজম অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে-সঙ্গে রাতেই অকুস্থলে অন্য কর্মীদের নিয়ে ছুটে যান পুলিশের পদস্থ অফিসাররা। তাঁরা অগ্নিদগ্ধ তিনজনকে কোকরারঝাড় সিভিল হাসপাতালে এনে ভরতি করেছেন। অগ্নিদগ্ধ দুজনের অবস্থা শঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নিশ্চিত ধারণা, এই হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে বনধ আহ্বানকারী আক্রাসু-র হাত রয়েছে। সেই সূত্রে দশজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে একটি স্বতোপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *