BRAKING NEWS

ধর্মনগরে হোটেলে পুলিশি হানা, তিনটি পিস্তল ও বুলেট সহ গ্রেপ্তার চোরাকারবারি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অক্টোবর৷৷ উত্তর ত্রিপুরার সদর ধর্মনগরে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে আগ্ণেয়াস্ত্র৷ এর সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ৷ প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গেস্টহাইস নামের একটি আবাসিক হোটেলে ধর্মনগর থানার ওসি বেণুমাধম দে এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জ্যোতিষ্মান দাসচৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হয় অস্ত্র কারবারির বিরুদ্ধে অভিযান৷ অভিযানে তিনটি পিস্তল এবং ২৫ রাউন্ড কাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়৷ সেই সাথে নগদ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ আগ্ণেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে৷ ধৃতকে পশ্চিম ত্রিপুরা দেলার বিশালগড় মহকুমার দেবীপুরের বাসিন্দা বিনোদবিহারী দাসের ছেলে প্রাণজিৎ দাস বলে পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ তার কাছ থেকে ছোট, বড় ও মধ্যম তিন আকারের তিনটি বিদেশি পিস্তল, ২৫ রাউন্ড সক্রিয় গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে শিলচর থেকে ধর্মনগরগামী ট্রেনে আগ্ণেয়াস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তি আগরতলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে৷ সে ধর্মনগরে রাত কাটাবে বলেও খবর ছিল৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে ধর্মনগর রেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন হোটেলে জোরদার তল্লাশি চালান রাত প্রায় দুইটা পর্যন্ত৷ অবশেষে সাফল্য লাভ করে এসডিপিও জ্যোতিষ্মান দাসচৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম৷ তাঁরা অফিসটিলা এলাকার কালীবাড়ি সংলগ্ণ গেস্টহাইস এ হানা দিয়ে প্রাণজিৎ দাস নামের আগ্ণেয়াস্ত্র কারবারিকে আটক করেন৷ তাকে নিয়ে আসা হয় থানায়৷ অস্ত্রকারবারিকে থানায় নিয়ে আসার খবর শুনে রাতেই ছুটে আসেন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী৷ ধৃত প্রাণজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইনের ২৫(১)(এ) ধারায় ১৫৫/২০১৮ নম্বরে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ পুলিশ সুপার বলেছেন, ধৃত প্রাণজিতের কাছ থেকে এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না৷ এতগুলি পিস্তল ও বুলেট পাচারের অভিসন্ধি কী জানতে জেরা চলছে৷ এদিকে, পুলিশি জেরায় প্রাণজিৎ নাকি বলেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শিলচর থেকে সে ধর্মনগরগামী ট্রেনে চড়ে৷ ট্রেনটি বদরপুর আসার পর অন্য একজন হাত বদল করে পিস্তল ও বুলেটগুলি তার হাতে দেয়৷ আগ্ণেয়াস্ত্রগুলি নিয়ে তার আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু, রাতে আগরতলার গাড়ি না থাকায় সে ধর্মনগরে হোটেলে উঠেছিল৷ তবে কী উদ্দেশ্যে বহিঃরাজ্য থেকে পিস্তল আনা হয়েছে, বা সেগুলি কার কাছে হস্তান্তর করার উদ্দেশ্য ছিল, এসব প্রশ্ণের জবাব এখনও পুলিশ তার কাছ থেকে বের করতে পারছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *