নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ আগস্ট৷৷ কেরলে বন্যায় ত্রাণ সংগ্রহকে ঘিরে রাজ্যে বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধেছে৷ সিপিএমের অভিযোগ, চাঁদা সংগ্রহে আগরতলা, বিলোনীয়া এবং খোয়াইতে বিজেপি কর্মীরা বাঁধা দিয়েছেন৷ তবে, স্থানীয়দের বক্তব্য সিপিএম সংগৃহীত চাঁদা আদৌ কেরল পাঠাবে কিনা তার প্রমাণপত্র বা রসিদ কোনটাই দেখাতে পারেনি৷ তাই, চাঁদা সংগ্রহকে ঘিরে সিপিএমের নেতাদের সাথে বাদানুবাদ হয়েছে৷ শেষে চাঁদা সংগ্রহ না করেই তাঁরা ফিরে গেছেন৷ সোমবার দিনভর চাঁদা সংগ্রহকে ঘিরে আগরতলা, বিলোনীয়া এবং খোয়াইতে উত্তেজনা বিরাজ করেছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনীকে নামানো হয়েছিল৷
কেরলের বণ্যা ত্রান তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজ্যের তিনটি জায়গায় প্রধান প্রতিপক্ষীয় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বাদানুবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল৷ রাজধানী আগরতলা, খোয়াই এবং বিলোনিয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছ৷ অবস্থা বেগতিক দেখে সিপিএম নেতারা চাঁদা সংগ্রহ না করেই ফিরে গেছেন৷ বিজেপির দাবি, দলীয় কোন কর্মী সিপিএম নেতা-কর্মীদের চাঁদা সংগ্রহে বাধা দেয়নি৷ স্থানীয় জনগণ কেরলে সংঘটিত বন্যার জন্য চাঁদা সংগ্রহকারীদের কাছে রসিদ দাবি করেন৷ কিন্তু তারা তা দিতে পারেননি৷ এমনকি দুর্গতদের জন্য এই অর্থ পাঠানো হবে বলে কোনও প্রমাণপত্রও দেখাতে পারেননি চাঁদা আদায়কারীরা৷ আর এই কারণেই বিবাদ শুরু হয়৷ যা পরে বড় আকার ধারণ করে৷
প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ তথা সিপিএম পশ্চিম জেলা সম্পাদক পবিত্র কর অভিযোগ করেছেন, কেরলের বন্যা ত্রাণ তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজারে, খোয়াইতে এবং বিলোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন সিপিআইএম নেতারা৷ তাঁদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করেছেন বিজেপি কর্মীরা৷ তাঁর বক্তব্য, কেরলের বন্যায় অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিলোনিয়ায়ও বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়েছে সিপিআইএম নেতাদের৷ এদিন দুপুরে আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজারে এবং বিলোনিয়ার বাজারে সিপিআইএম নেতারা কেরলে বন্যায় সাহায্যের জন্য চাঁদা সংগ্রহে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু মহারাজগঞ্জ বাজারে তাঁদের বাঁধা দেওয়া হয়৷ বিলোনিয়ার বাজারে আক্রান্ত হয়েছেন বাদল চৌধুরী, বাসুদেব মজুমদার এবং সুধন দাস৷ তিনি জানান, চাঁদা সংগ্রহ না করেই ফিরে যান সিপিএম নেতারা৷ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিপিএম৷ খোয়াইতেও একই ভাবে চাঁদা সংগ্রহে গেলে সিপিএমের নেতাদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনাগুলির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করেছেন৷
সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পেরে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ তাই, কেরলে বন্যায় দুর্গতদের সাহাযার্থে চাঁদা সংগ্রহে সিপিএমকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে৷ এই পরিস্থিতি আগামী দিনে রাজ্যের সর্বনাশ ডেকে আনবে৷