BRAKING NEWS

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জন্য মমতাকে পাল্টা বিধঁলেন অমিত শাহ

নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই (হি.স.): অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন উত্তাল ছিল সংসদ। সরকারপক্ষ এবং বিরোধীরা বারবার বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছে। দিল্লির বুকে গিয়ে দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা মমতা সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, ভোটের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো এমন কাজ করছেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীরা বলে জানান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহ বলেন, সংসদে বিভিন্ন দলের বক্তব্য আমি শুনলাম। শুনে অবাক হয়ে গেলাম অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি যে খসড়া প্রস্তাবনা সেই বিষয়টি কেউ উল্লেখ করেন । কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলি বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক । অনুপ্রবেশকে উৎসাহ দিলে দেশের সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমরা কার্যকর করব। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধ তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, গৃহযুদ্ধের কথা বলে দেশকে একবার ভাগ করেছেন। আপনারা কি বলতে চাইছেন? তৃণমূল কংগ্রেসকে বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।

মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, যদি আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন তবে অসমের নাগরিকদের মানবাধিকার কি হবে? শিক্ষা, চাকরি অধিকার তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা মানবাধিকার নয় পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এর জন্যই এনআরসি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভারতবাসী নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারে।

এই বিষয়ে কংগ্রেসের নিন্দা করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন অসম অ্যাকড চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয় রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে। এই চুক্তির ফসল হচ্ছে এনআরসি। বিজেপি সব সময় জাতীয় স্বার্থ দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের ফায়দা তুলতে চাইছে। ১৯৭১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন কোনও বাংলাদেশিদের জবরদখলকারীদের ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না।

অমিত শাহ আরও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের সাধারণজ্ঞানকে ঠিক করুন। আমরা নিজেরা যখন বিরোধী বেঞ্চে ছিলাম তখনও বিষয়টিকে আমরা সমর্থন জানিয়ে ছিলাম। অমিত শাহ আশ্বস্ত করে বলেন, এটি একটি খসড়া সূচী। আর যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক এতে বাদ হয়ে যায় তবে তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *