BRAKING NEWS

করিমগঞ্জে ভেজাল খাদ্য সামগ্রীর রমরমা, রহস্যজনক ভূমিকা সংশ্লিষ্ট দফতরের, অভিযোগ

করিমগঞ্জ (অসম), ১২ জুন (হি.স.) : দক্ষিণ অসমের করিমগঞ্জ জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেদার বাজারজাত হচ্ছে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী। ভেজাল মশলার পাশাপাশি ঠাণ্ডা পানীয়, নিম্নমানের মিষ্টি, ভেষজ তেলও বিক্রি হচ্ছে করিমগঞ্জে। ভেজাল খাদ্য সামগ্রী তদারকি বা দেখভালের দায়িত্ব যার ওপর সেই খাদ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট ইনস্পেক্টর বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ওঠেছে নানা অভিযোগ।

করিমগঞ্জ শহরের মসজিদপট্টি এলাকায় খোলাবাজারে যে সব রঙবেরঙের খাদ্যোনুপযোগী মশলা বিক্রি হচ্ছে, সেগুলি মূলত আসে মদনমোহন রোড, পূর্ববাজার, দাসপট্টি এলাকার বিভিন্ন কারখানা থেকে। শুধু রান্নার ভেজাল মশলাই নয়, করিমগঞ্জ জেলায় চলছে ঠাণ্ডা পানীয়, নিম্নমানের মিষ্টির রমরমা। জানা গেছে, এ ধরনের প্রত্যেকটি সামগ্রীতে খাদ্য দফতরের অনুমোদন থাকা আবশ্যক। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভেষজ তেলে কোনও সরকারি অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই দেদার বাজারজাত হচ্ছে বাংলাদেশি তেল।
স্থানীয় কতিপয়ের অভিযোগ পেয়ে গত বছর শহরের উপকণ্ঠ কানিশাইল এলাকায় অবৈধ ঠাণ্ডা পানীয় কারখানায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল করিমগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। কিন্তু কিছু দিন পরই রহস্যজনকভাবে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভেজাল পানীয়ের রমরমা। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানির নকল করে এখানে ঠাণ্ডা পানীয় সামগ্রী তৈরি করে সেগুলি বাজারজাত করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের কোনও নীতি-নির্দেশিকা এইসব ভেজালকারীরা মানে না।

অন্যদিকে, দাসপট্টি এলাকার জনৈক ব্যবসায়ী বাংলাদেশ থেকে ভেষজ তেল এনে খাদ্য দফতরের কোনও অনুমোদন ছাড়া দেদার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সব অবৈধ কার্যকলাপ রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে করিমগঞ্জ খাদ্য পরিদর্শক প্রদীপ্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ব্যাপারে জেলার সাধারণ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *