গুয়াহাটি, ১০ জুন (হি.স.) : কারবি আংলঙের ডকমকায় সংঘটিত নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে ধিক্কার দিচ্ছে গোটা রাজ্য। সমগ্ৰ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জনে নানা প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন মন্ত্ৰী–বিধায়করাও। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সারা অসম ছাত্র সংস্থার উপদেষ্টা সমুজ্জ্বলকুমার ভট্টাচাৰ্য এবং সংস্থার সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ। প্রায় সকলেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজব সম্পর্কে কোনও সজাগতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন।
ঘটনা সম্পর্কে সমাজকল্যাণমন্ত্ৰী প্ৰমীলারানি ব্ৰহ্মও দোষীদের কঠোর শাস্তি প্ৰদানের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ছেলেধরা সম্পর্কীয় উড়ো-খবর বা গুজবে কান না দিতে রাজ্যের জনসাধারণের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্ৰী।
ডকমকার কাংথিলাংসো এলাকার পানজুরি কাছারিগাঁও-এ ছেলেধরা সন্দেহে গুয়াহাটির দুই প্রতিভাবান যুবককে শুক্রবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে খুন করার ঘটনাকে দুৰ্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক নোমল মোমিন। ফাস্টট্র্যাক আদালতে এ ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানের জন্য মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তাছাড়া শুক্রবারের ঘটনার জন্য শুধুমাত্র কারবি জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করা অনুচিত বলে মনে করেনে মোমিন। বলেছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ দুই শিল্পী নীলোৎপল দাস এবং অভিজিত নাথের ওপর বর্বরোচিত হামলার সঙ্গে জড়িতছিল।
এদিকে শিল্পী নীলোৎপল দাস এবং প্রকৃতিপ্রেমী অভিজিত নাথকে ন্যায় দেওয়ার দাবিতে গুয়াহাটির শিলপুখুরি পার্কে নাগরিক সমাজের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ রবিবার। গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি তুলেছে নাগরিক সমাজ। উদীয়মান দুই শিল্পীর স্মৃতি স্মরণীয় রাখতে শিলপুখুরির পাশে অবস্থিত কারবি ভবনের সামনে নীলোৎপল দাস এবং অভিজিত নাথের আবক্ষ মূৰ্তি স্থাপনের দাবি নিয়ে তারা সরকারের কাছে জানাবেন। সভায় নাগরিক সমাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজ সন্ধে ছয়টায় শিলপুখুরির কালীমন্দির থেকে কারবি ভবন পর্যন্ত মমবাতি মিছিল করে দুই প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তাঁরা।