BRAKING NEWS

ঐতিহ্যের বিদায়, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় দপ্তর মুছে জুড়ে দেয়া হচ্ছে সচিবালয় প্রশাসন দপ্তরে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ মে৷৷ পাঁচ দশকের ঐতিহ্য মুছতে চলেছে৷ সম্ভবত, সারা দেশে একমাত্র ত্রিপুরাতেই মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয় এই দপ্তরটি মুছে যাচ্ছে৷ সচিবালয় প্রশাসন দপ্তরের সাথে যুক্ত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর৷ সে মোতাবেক প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে৷ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ তবে, হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মিলেনি৷ প্রশাসনিক একেন্দ্রীকরণের হঠাৎ কি প্রয়োজনীয়তা পড়লো সে বিষয়েও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি৷ তবে, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের গোপনীয়তা বজায় নিয়ে এবং প্রশাসনিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সচিবালয়ের অন্দরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে৷

সূত্রের খবর, এই প্রশাসনিক একেন্দ্রীকরণের দায়িত্ব পড়েছে অতিরিক্ত সচিব আর পি দত্ত, নির্মল অধিকারী এবং সন্তোষ দাসের উপর৷ তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে সচিবালয়ে দপ্তরের সাথে একেন্দ্রীকরণের যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ ১৯৬৩ সালে রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচিন্দ্র লাল সিংহের আমল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পৃথক দপ্তর রয়েছে৷ যতদূর জানা গেছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর পৃথক দপ্তর রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পৃথক দপ্তর রয়েছে৷ ওই দপ্তরের জন্য পৃথক মন্ত্রীও রয়েছেন৷ কিন্তু, রাজ্যে পাঁচ দশকের সেই ঐতিহ্য মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

অনেকেরই ধারনা, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সচিবালয় প্রশাসন দপ্তরের সাথে যুক্ত হলে গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে৷ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ কোথাও গিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিতে পারবেন না৷ উদাহরণ স্বরূপ, কোন দুর্যোগ কবলিত এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ এর জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করেই মুখ্যমন্ত্রীকে সেই ঘোষণা দিতে হবে৷ এখন দেখার বিষয়, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে মুছে দিয়ে নতুন উদ্যোগ প্রশাসনের জন্য কতটা লাভজনক হিসাবে প্রমানিত হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *