শান্তিনিকেতন, ২৭ মে (হি.স.): বিশ্ব শান্তি ও সৌভাতৃত্বকে সুনিশ্চিত করতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের পথ প্রশস্ত করে| প্রথমবার শান্তিনিকেতন সফরে এসে নিজের মত প্রকাশ করে গেলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| গত ২৫ মে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী-র আচার্য রূপে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনে পৌঁছে তিনি প্রথমেই যান গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের বসত বাড়ি ঐতিহ্য প্রাঙ্গন উদয়ন বাড়িতে। সেখানে কবি গুরুর বসার আসনে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন। কবির স্মৃতি বিজড়িত গৃহ ঘুরে দেখেন। ওখানেই বিশ্বভারতী ভিজিটরস বুক-এ নিজের অনুভূতি অভিব্যক্ত করেন আচার্য নরেন্দ্র মোদী।
আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের মত প্রকাশ করেন লিখেছেন, \”গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে আসা আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়।\” এখানেই না থেমে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “বিশ্ব শান্তি ও সৌভাতৃত্বকে সুনিশ্চিত করতে ওনার দৃষ্টিভঙ্গী আমাদের পথ প্রশস্ত করে এবং চিরকাল করে চলবে। আমার শুভকামনা রইল যে এখানকার পরবর্তী প্রজন্ম গুরুদেবের দৃষ্টিভঙ্গী অনুসারে,শান্তিনিকেতনের পরম্পরায় নির্ভিক, মানবীয় ও বিনম্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ ও রাষ্ট্র নির্মানেও নিরন্তর সচেষ্ট থাকবে। আমি আশা করি যে নতুন প্রজন্ম বিশ্বভারতীর উন্মুক্ত বাতাবরনে বিকসিত হয়ে মানবজাতির বিকাশে নিজেদের মহত্বপূর্ন ভূমিকা নেবে। গুরুদেবকে আমি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই\” এই অনুভূতি ভিজিটরস বুকে লিখে নিচে সই করে দেন নরেন্দ্র মোদী। যা বিশ্বভারতীর সম্পদ হযে থাকল।