BRAKING NEWS

চিত্রদূর্গর ঐতিহ্য এবং ইতিহাসকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্নিশ, জোর বিজ্ঞানের উপরে

চিত্রদূর্গ, ৬ মে (হি.স.): কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে এবার রাজ্যের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে নিজের ভাষণের মাধ্যমে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার কর্ণাটকের চিত্রদূর্গে এক নির্বাচনী জনসভা প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞানের মন্ত্র অনুভূত হয়। দেশের জন্য জীবন বলিদান করা বীরদের ভূমি এই চিত্রদূর্গ। এখানকার বীর মাদাকারী সুলতানদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। সাহস এবং শৌর্যের সংজ্ঞা কি তা চিত্রদূর্গই শিখিয়ে দিয়েছে। সম্পদ কম থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ দেশকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। খরা থাকলেও বহু প্রগতিশীল কৃষক এখানে রয়েছেন।
এদিন ঐতিহ্যের পাশাপাশি চিত্রদূর্গের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রসঙ্গও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আধুনিক বিজ্ঞানের তার নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে। চিত্রদূর্গের আসে পাশের এলাকায় আধুনিক বিজ্ঞানের হাব গড়ে তোলা হবে। চন্দ্রযান-২ এর প্রস্তুতির কাজ এখানে শুরু হবে। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানাই।
অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিন্দায় মুখোর হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস এমন একটি দল যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য ইতিহাসকে বদলে দিচ্ছে। ভোটের জন্য কংগ্রেস সুলতানদের জয়ন্তী পালন করে এখানকার নায়কদের অপমান করেছে। ভোটের জন্য এখানকার বীর এবং তাঁদের পরম্পরার সঙ্গে কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতক করেছে। চিত্রদূর্গের মানুষ এর জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা করবে না। কংগ্রেসের ইতিহাসে বহু গুণীজনকে তারা অপমান করেছে। একটি পরিবারের জন্য কয়েক কোটি গুণীজনকে অপমান করার রেওয়াজ কংগ্রেসের রয়েছে। আধুনিক কর্ণাটকের নির্মাতা তথা কংগ্রেস নেতা নিজালীনগাপ্পার সঙ্গে কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দিল্লিতে বসে থাকা নেতারা সবসময় ওনাকে অপমান করেছেন। নিজালীনগাপ্পার অপরাধ এটাই ছিল যে তিনি নেহেরুর আর্থিক নীতির বিরোধিতা করেছেন। যার জন্য ওনাকে অপমানিত হতে হয়। নিজালীনগাপ্পা গরিব এবং দলিতদের জন্য লড়তেন। কিন্তু কংগ্রেস এটা মেনে নিতে পারেনি। কংগ্রেস আম্বেদকরকেও অপমান করেছে। কংগ্রেস জমানায় ভারতরত্নের খেতাব শুধুমাত্র একটি পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। অটলজি ক্ষমতায় এসে আম্বেদকরজিকে ভারতরত্ন দেন। দেশে হাজার যোজনা কেবল মাত্র একটি পরিবারের সদস্যদের নামেই হতো। বাবা সাহেবের স্মারক তৈরি করার জন্য কংগ্রেস কখনই এগিয়ে আসেনি। দলিতদের এই দাবি কংগ্রেস কোনও দিন পাত্তা দেয়নি। বিজেপির জন্য বিশ্বের মানুষ এখন বাবা সাহেবকে চেনে। বিদেশিরাও প্রথমবার আম্বেদকর জয়ন্তী পালন করেছে। বিজেপির পাঁচটি শহরে আম্বেদকরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে। অটলজির নেতৃত্বে যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তখন রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে আব্দুল কালামকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেছিলেন। যখন দ্বিতীয়বার এই সুযোগ বিজেপি পেলো তখন একজন গরিব এবং দলিত রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদে বাসল। এর থেকে কংগ্রেস চিন্তিত হয়ে পড়েছে। যার জন্য তারা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। আদিবাসী এবং দলিতদের সমাজে অপমান সহ্য করতে হয় আর তার জন্য বিজেপি কড়া আইন বানিয়েছে। কংগ্রেসের ভিত্তি কেঁপে উঠেছে। এর জন্য তারা মিথ্যা কথা প্রচার করে চলেছে। দলিত, মহিলা, শোষিতের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রতিবন্ধী মানুষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার মাত্র ৫৭টি শিবির করেছে। আর আমরা কেবল ৪ বছরে ৫০০০ শিবির করেছি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন এখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্যুটকেসে ক্যারেক্টর সার্টিফিকেট রেখে দেন। যাতে করে তার মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তিনি তা জারি করে দিতে পারেন। কংগ্রেস হৃদয়হীন। তারা সমঝোতা করতে ভালবাসে। কংগ্রেস পাঁচ বছরে জনকল্যাণ নিয়ে চিন্তা করেনি। আপনারা এখন ওনাদের বিদায় দিন। কর্ণাটকবাসীর কাছে এটাই আমার দাবি। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকাও কংগ্রেস নেতারা হজম করে নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *