তুমাকুরু, ৫ মে (হি.স.) : উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই যে তার দল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে শনিবার সেটাই বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন কর্ণাটকের তুমাকুরুর এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জল সংরক্ষণ, সেচ এবং জলপথে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে চলেছে। নারকেল রফতানি কি করে আরও বেশি বৃদ্ধি করা যায়, তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। স্মার্ট সিটির প্রকল্পের আওতায় তুমাকুরুর উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে আর্থ পাঠিয়ে ছিল। রাজ্য সরকার সেই টাকা জনগণের উন্নয়নকল্পে খরচ না করে আত্মসাৎ করেছে। রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে চলেছে।’ দুর্নীতি এবং কালো টাকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কালো টাকা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুরদস্তুর যুদ্ধ চলছে। দুর্নীতিকে কোনও ভাবে রেয়াত করা যাবে না।’
অন্যদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জেতার জন্য ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে গরিব মানুষদের বোকা বানিয়ে আসছে কংগ্রেস। কৃষক এবং দরিদ্র মানুষের জন্য কংগ্রেস কিছুই করেনি। মানুষ কংগ্রেসের প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস ‘গরিব’ ‘গরিব’ বলে চিৎকার করেছে। কিন্তু দেশের গরিব মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এখন তারা গরিব বলাটা বন্ধ করেছে। কারণ দেশের মানুষ একজন গরিবকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসিয়েছে।’ হেমাবতী নদীড় জল কেনো তুমাকুরুর মানুষেরা পাচ্ছে না সেই বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেনো তুমাকুরুর বাসিন্দারা এখনও হেমাবতী নদীর জল পাচ্ছে না। কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে। ৩০ বছর ধরে সেচের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেনি কংগ্রেস। সেই কাজ এখন আমাদের করতে হচ্ছে।
জেডি(এস) এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যবাসীকে জেডি(এস) এবং কংগ্রেসের কৌশল জানা উচিত। এখানে(তমাকুরু) মানুষকে তারা দেখাচ্ছে যে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের পৌরপিতাকে তারা সমর্থন জানিয়েছেন।
তুমাকুরুর প্রাচীন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী, বহু মহান ব্যক্তিত্বের ধাত্রী ভূমি হচ্ছে এই তুমাকুরু। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তুমাকুরুতে এসে সিড্ডাগঙ্গা মঠ থেকে শিবকুমার স্বামীজির আর্শিবাদ নিয়ে গিয়েছি আমি।