BRAKING NEWS

পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–মুকুল

কলকাতা, ২ মে (হি.স.): পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় । তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নয়, ক্যাডারদের দিয়ে ভোট করানোর ছক কষেছেন মমতা । মনোনয়ন পর্বে ৩৪ শতাংশ আসনে জয়লাভ করে রাজ্যে ইতিহাস তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ।

এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘মমতার উত্থান কিন্তু কংগ্রেস থেকেই ৷ কংগ্রেসের দৌলতে উনি সাংসদ, এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন । অথচ ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের দুঃসময়ে তিনি দল ছাড়েন ৷‘তাই যাঁরা আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছেন, তাঁদের বলছি, মমতা যদি বিশ্বাসঘাতক না হন, তবে আমিও বিশ্বাসঘাতক নয়’। পরিবর্তনের জামানায় মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে দাবি করে মুকুল রায় বলেন, ‘সিপিএম নামক ৩৪বছরের জগদ্দল পাথরটাকে সরিয়ে রাজ্যের প্রকৃত পরিবর্তনের লক্ষ্যেই তখন মমতার সঙ্গে ছিলাম ৷ কিন্তু এই সাত বছরে সাধারণ মানুষের কোনও উন্নতি হয়নি ৷ দুর্নীতি করে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের নেতারা ৷ চোর তাড়াতে গিয়ে আমরা ডাকাত ডেকে আনলাম । এবারের ভোটে যেভাবে বহু জায়গায় আমাদের প্রার্থীই দিতে দেওয়া হল না, তাতে স্পষ্ট মমতা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় ৷ তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মমতা বাংলায় গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছেন’৷

মুকুল রায় বলেন, কিন্তু এখনও বলা যাবে না ১৪ মে ভোট হবে কিনা । আগামী ৪ মে এনিয়ে আদালত রায় ঘোষণা করবে। এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ি রাজ্য সরকার, দায়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তবে ভোট একদফা, দু’দফা কিংবা যত দফায় হোক না কেন, তিনি চান সুষ্ঠু নির্বাচন । সুষ্ঠু ভোট করানোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের । তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হলে হবে । রাজ্য বলছে, তাদের হাতে নাকি পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে । রাজ্য এক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিচ্ছে । সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে কিছুতেই ভোট করানো যাবে না । তার চেষ্টা অবশ্য চলছে । ক্যাডারদের দিয়ে ভোট পরিচালনার ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে ফেলেছেন । তবে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণ প্রতিরোধ করা ছাড়া তাঁদের অন্য কোনও উপায় নেই ।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের রায়ে পঞ্চায়েত ভোটে পরাজিত হবেন জেনে এই ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মানুষ বিভ্রান্ত । একবার তিনি বললেন ১, ৩, ৫ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পরে আবার তিনিই বললেন ১৪ মে ভোট হবে । এর মধ্যে এমন কী পরিস্থিতি হল যাতে ভোটকে একদিনে নিয়ে যেতে হবে ? শুধু মনোনয়ন প্রক্রিয়াতেই ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । আরও বড় বিষয়, ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঠিক না করেই নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছে । সমস্ত বিষয়টিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রহসনে পরিণত করেছেন। কোনও বুথে একজন সশস্ত্র পুলিশ, নাকি দু’জন, নাকি কোনও পুলিশই থাকবে না, সেসব কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। নির্বাচন কমিশন নামেই। সমস্ত ব্যবস্থা পরিচালনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই নির্বাচন গ্রামীণ মানুষের ভবিষ্যৎ । কেন্দ্র থেকে যে প্রকল্পগুলি আসে, তা রূপায়িত হয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে । ফলে গ্রাম বাংলার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের বিশাল ভূমিকা রয়েছে । সেটাই অস্বীকার করতে চাইছে রাজ্য সরকার’ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *