নয়াদিল্লি, ১৪ এপ্রিল (হি.স.): যৌন হেনস্থার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পড়ুয়া গোপাল মালু | প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানাল পুলিশ ।
শুক্রবার দিল্লিতে কলেজের ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার হই পশ্চিমবঙ্গের আইআইটি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ | শুক্রবার সকালে দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির নীলগীরি ছাত্রাবাসে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধর হয় বছর একুশের ওই পড়ুয়ার দেহ ৷ দিল্লি আইআইটিতে পাঠরত বাঙালি ছাত্র গোপাল মালুর আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছে যৌন নির্যাতন। যৌন হেনস্থার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন হুগলীর ওই ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তের পর নিশ্চিত পুলিশ।
হুগলীর ত্রিবেণীর বাসুদেবপুরের বাসিন্দা ছিলেন গোপাল ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। বর্তমানে দিল্লি আইআইটি-তে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু, ১০ এপ্রিল রাতে হঠাত্ই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গোপাল। তবে সে যাত্রায় হাসপাতালে চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। হাসপাতাল থেকে গোপালকে প্রথমে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দাদা। তারপর বৃহস্পতিবার ফের তাকে হস্টেলে রেখে যান তাঁর দাদা। পরদিন শুক্রবার সকালেই হস্টেলের ঘর থেকে গোপালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৫ এপ্রিল মুম্বই আইআইটিতে বিনশা যাদব(২১) আত্মঘাতী হন। অবসাদে ভুগছিলেন বলেই তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও মিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে ঠিক কী কারণে এমন আত্মহত্য়ার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে আইআইটি ছাত্রদের মধ্যে ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ হস্টেলের ঘর থেকেই একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটেই যৌন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন গোপাল। তিনি লিখেছেন, ছোটবেলা থেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁকে। এই নিয়ে সম্প্রতি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। সুইসাইড নোটে নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন গোপাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পসকো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যদিও আত্মঘাতী ছাত্রের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁর যৌন হেনস্থার কথা জানতেন না তাঁরা।