BRAKING NEWS

সংসদ চত্বরে বিরোধীদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ

নয়াদিল্লি, ৫ এপ্রিল (হি.স.): ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি, কৃষকদের দুরাবস্থা, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ, তফশিলি জাতি ও উপজাতিসহ একাধিক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীদলগুলি। সংসদ চত্বরে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন দেশের প্রধান বিরোধীদলগুলি। তৃণমূল কংগ্রেস, তেলেগু দেশম, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের সাংসদরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সরকার বিরোধী এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সমাজবাদী পার্টির জয়া বচ্চন, সিপিআই-এর নেতা ডি রাজা, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, যোগেন চৌধুরী, সুখেন্দুশেখর রায়সহ বহু তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
পরে মানববন্ধন করে গোটা সংসদ ভবনজুড়ে প্রদক্ষিণ করেন সাংসদরা। এই বিষয়ে শুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী ১৩ টি দল এই বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন অধিবেশন কক্ষের ভেতরে বিরোধী দলগুলির কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। বিজেপির কিছু সহযোগী দল অধিবেশন কক্ষের ভেতরে ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখানোর ফলে বিরোধীদলগুলি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি, কৃষকদের দুরাবস্থা, তফশিলি জাতি ও উপজাতিসহ একাধিক ইস্যুগুলি তুলে ধরতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়েই সংসদ চত্বরে বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীদলগুলি।
প্রসঙ্গত আগামীকালই শেষ হতে চলেছে লোকসভার বাজেট অধিবেশন। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে টানা ২৩ দিন অচল ছিল সংসদ। ফলে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই জন্য ওই দিনগুলির বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনডিএ সাংসদরা। অন্যদিকে,এদিন তফশিলি জাতি ও উপজাতির বিষয়ে ভারতীয় দলিত পন্থার দলের সদস্যরা নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *