BRAKING NEWS

স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থার দৌলতে নার্সিং হোমগুলির দৌরাত্ম্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুবই বেহাল৷ প্রতিদিনই রোগীরা চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যে পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ রাজ্যে দুটি মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠলেও রাজ্যবাসী আশানুরূপ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না৷ সরকারী হাসপাতালগুলিতে রোগা নির্ণয় ব্যবস্থাও দুর্বল৷ রোগ নির্ণয় ছাড়া রোগীর সঠিক চিকিৎসা আশা করা নিরর্থক৷ এখনও চিকিৎসকরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমান নির্ভর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকরা অনেক সময় বহুবিদ ওষুধের তালিকা ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন৷ এসব ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার বদলে রোগীকে আরও কঠন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়৷ তাতে তিতিবিরক্ত হয়ে অনেকে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন৷ সেক্ষেত্রেও নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ ডাক্তারবাবুরা রোগ নির্ণয়ের জন্য নির্দিষ্ট প্যাথলজি বা রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের নাম লিখে দেন৷ ডাক্তারবাবুরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে রোগ নির্ণয় করে না আনলে বিরাগভাজন হন৷ আবার রোগ কিছুটা জটিল প্রকৃতির হলে নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন৷ অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হলে পকেট কাটতেও দ্বিধাবোধ করেন না তথাকথিথ সেবা ধর্মের দীক্ষায় দিক্ষিতরা৷ আগরতলায় যেসব প্রাইভেট নার্সিং হোম রয়েছে সেগুলির হাল হকিকৎ যে কী তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ রোগীরা বাধ্য হয়েই এসব নার্সিং হোমে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হন৷ ইদানিংকালে নার্সিং হোমে প্রসব করানোর প্রবণতা বেশ বেড়েছে৷ এটি যেন আত্মমর্যাদার বিষয় হয়ে উঠেছে৷ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পকেট কেটে নিচ্ছে নার্সিং হোমগুলি৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল এসব নার্সিং হোমে নবজাতকের চিকিৎসার তেমন কোন ব্যবস্থা থাকে না৷ নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়লে নার্সিং হোম থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ আইএলএস নামে তথাকথিচ বিশ্বমানের একটি হাসপাতালও রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়াছে কয়েক বছর আগেই৷ সরকারী দয়া দাক্ষিণ্য সরকারী জমিতে হাসপাতাল নির্মাণ করেছে৷ এই বিশ্বমানের হাসপাতাল রাজ্যবাসীর কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তারাও পকেট কাটার কারিগড়ে পরিণত হয়েছে৷ তাদের বহু কেচ্ছা কেলেংকারী ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়েছে৷ সব মিলিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সত্যিকার অর্থেই প্রশ্ণ চিহ্ণে দাঁড়িয়েছে৷ রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুললেও সেগুলি দৃষ্টি নন্দন দালানবাড়ি ছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার ইতরবিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি৷ রাজ্যে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর স্বল্পতা এখনও ঘুচেনি৷ স্বাভাবিক কারণেই সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *