পালক্কাদ(কেরল), ২৩ ফেব্রিয়ারি (হি.স.): গণধোলাইয়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে বছর ২৭-এর মানসিক ভারসাম্যহীন মধুর। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো ময়না তদন্তের রিপোর্টে। শনিবার প্রকাশিত ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে গণধোলাইয়ের মাধ্যমে মধুর উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এরফলেই গুরুতর আহত হন মধু। শরীরের ভেতর ও বাইরে একাধিক ক্ষতস্থান দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় মধুর। আর সেই কারণেই মধুর মৃত্যু হয়েছে। মধুর মাথা এবং শরীরের পেছনের দিকে একাধিক জায়গায় আঘাত গুরুতর ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেরল সরকারের তরফ থেকে নিহত মধুর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত চুরি করার অভিযোগে মধু নামে এক মানসিক ভারসামান্য যুবককে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ছিল। অমানবিক ঘটনাটি কেরলের পালক্কাদ জেলার আগালি গ্রামে বৃহস্পতিবার ঘটেছিল। শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সূত্রের দাবি বছর ২৭-র আদিবাসী মানসিক ভারসামান্যহীন যুবক মধু বিগত কয়েক মাস ধরেই মুক্কালির জঙ্গলে বসবাস করছিল। অন্যমনস্ক ভাবে গোটা এলাকায় ঘুরে বেড়াতো মধু।
স্থানীয়দের দাবি, খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মধু মাঝেমধ্যেই স্থানীয় দোকান থেকে খবার চুরি করে খেত। বৃহস্পতিবার খাবার চুরি করার সময় ধরা পড়ে মধু। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং দোকানের মালিকেরা তাকে দড়ি দিয়ে বেধে বেধড়ক মারে। আহত মধুর সঙ্গে অনেক বাসিন্দা সেলফি বা নিজস্বীও তোলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয় হয়। আহত অবস্থায় মধুকে জিপে তোলে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই মৃত্যু হয় মধুর। চূড়ান্ত অমানবিক এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।