BRAKING NEWS

নিঠারি ধর্ষণ ও খুনের আরও একটি মামলায় দুই প্রধান অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা

গাজিয়াবাদ, ৮ ডিসেম্বর (হি.স.): নিঠারি ধর্ষণ এবং খুনের আরও একটি মামলায় ফাঁসির সাজা হল মামলার দুই প্রধান অভিযুক্ত মনিন্দর সিং পান্ধার এবং তার সহযোগী সুরেন্দর কোলির। শুক্রবার দুজনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে আদালত। রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক পিকে তিওয়ারি বলেছেন, ২০০৬ সালে পরিচারিকা অঞ্জলিকে ধর্ষণ এবং খুনে জড়িত ছিল পান্ধার এবং কোলি। তাই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।
পরিচারিকা অঞ্জলিকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আজ গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত ব্যবসায়ী মনিন্দর সিং পান্ধার এবং তার সহযোগী সুরেন্দর কোলিকে মৃত্যুদণ্ড দিল । রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক পিকে তিওয়ারি বলেছেন, ২০০৬ সালে পরিচারিকা অঞ্জলিকে ধর্ষণ এবং খুনে জড়িত ছিল পান্ধার এবং কোলি। তাই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। দু’জনকে আলাদা আলাদা কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, কোলির সহায়তায় পান্ধারও এই ধর্ষণ এবং খুনে জড়িত। তাই তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। অপরদিকে কোলি ছুরি দিয়ে পরিচারিকা অঞ্জলিকে আঘাত করে। তিনি চেতনা হারালে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁর মাংস খান কোলি। তাই তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। দু’জনকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার পান্ধার এবং কোলিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (‌ধর্ষণ)‌, ৩০২ ধারা (‌খুন) এবং ২০১ ধারায় (‌প্রমাণ লোপাট অথবা ভুল তথ্য)‌ দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক পিকে তিওয়ারি। এই নিয়ে তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেল পান্ধার। অপরদিকে এই নিয়ে মোট ন’টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেল কোলি। নিঠারি গণ হত্যা এবং ধর্ষণ নিয়ে মোট ১৯ মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মামলা দায়ের হয়েছে কোলি এবং পান্ধারের বিরুদ্ধে। ১০ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে সিবিআই আদালতে। নয়ডায় পান্ধারের বাড়িতে শিশুদের অপহরণ করে রাখা, যৌন হেনস্থা এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল এই দু’জন। তদন্ত রিপোর্টে পান্ধারের নামে কোনও চার্জশিটই দাখিল করেনি সিবিআই। আদালত সিআরপিসি–র ৩১৯ ধারা কাজে লাগিয়ে পান্ধারকে সমন পাঠায় এবং দোষী সাব্যস্ত করে।
উল্লেখ্য, ২০০৬-এর ডিসেম্বরে নয়ডার নিঠারি গ্রামে পান্ধেরের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িটি থেকে পুলিশ ১৯ টি কঙ্কাল উদ্ধার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *