BRAKING NEWS

অসমের উন্নয়নে গুচ্ছ পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রালয়ের, ঘোষণা ধর্মেন্দ্র প্রধানের

গুয়াহাটি, ৮ ডিসেম্বর, (হি.স.) : গোটা দেশের মধ্যে প্রথম অপরিশোধিত তেল বের করা হয়েছিল অসমে। তাই এই অঞ্চলের উন্নয়নে তেল কোম্পানিগুলির এক দায়বদ্ধতা রয়েছে। শুক্রবার গুয়াহাটির আমিনগাঁওয়ের ফুলুঙে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত বহু কোটি টাকা ব্যায়সাপেক্ষে নির্মিত দক্ষতা বিকাশ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, অর্থমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, গুয়াহাটি ও মঙ্গলদৈয়ের সাংসদ বিজয়া চক্রবর্তী এবং রমেন ডেকা-সহ বিভাগীয় উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তবর্গদের সঙ্গে নিয়ে দক্ষতা বিকাশ প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন বিভাগীয় মন্ত্রী প্রধান।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপন করছে বর্তমান সরকার। এরই অন্যতম অঙ্গ গুয়াহাটিতে প্রায় তিন কোটি টাকার প্ৰারম্ভিক ব্যয়সাপেক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের আজ উদ্বোধন করে তিনি অত্যন্ত খুশি। এর জন্য তিন একর জমি প্ৰদান করায় তিনি রাজ্যের সর্বানন্দ সনোয়াল সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান বলেন, অসমের অৰ্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল কোম্পানিগুলোর বিশেষ ভূমিকা আছে। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নে, সামাজিক সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে কোম্পানিগুলি প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ। সেই অনুসারে শিবসাগরে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করতে ওএনজিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর কাজ শুরু করবে ওএনজিসি।
পূর্বতন সরকারের আমলে রাজ্যের কাঁচা তেলের রয়্যাল্টি বাবদ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন। আগে রয়্যাল্টি প্রদানে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হলেও কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান কোনও কার্পণ্য করছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্ৰী ঘোষণা করেছেন, গুয়াহাটিতে অয়েলের একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হবে। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদি দেশের দায়িত্ব নিয়েই নৰ্থ-ইস্ট হাইড্ৰো-কাৰ্বন ভিশন প্ৰস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তা বাস্তবায়নও হয়েছে। জানান, রাজ্যে বিদ্যমান রিফাইনারিগুলোর বর্তমান সামৰ্থ সাত মিলিয়ন মেট্ৰিকটন থেকে বাড়িয়ে ১৫ মিলিয়ন মেট্ৰিকটনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এশিয়ার প্ৰথম শোধানাগার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জনকারী ডিগবয় শোধানাগারের উৎপাদন-সামর্থ অকল্পনীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বলেও জানান মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাছাড়া প্যারাদ্বীপ থেকে নুমলিগড় শোধানাগার পর্যন্ত পাইপলাইন সংস্থাপনের জন্যও যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে তা-ও জানান তিনি।
প্ৰথম দফায় বারাউনি থেকে নুমলিগড় পর্যন্ত, এর পর নুমলিগড় থেকে দুলিয়াজান এবং পরবর্তীতে তা আগরতলা পৰ্যন্ত সম্প্ৰসারণ করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই প্ৰকল্পে ৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বুলেও জানান তিনি।
অসমে একটি স্কিল ইউনিভার্সিটি স্থাপনের ব্যপারেও পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কেন্দ্ৰীয় সরকার এই অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মসংস্থাপনের সুযোগ দিচে আরও বেশি করে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানান কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *