দুর্গাপুর, ৩০ নভেম্বর(হি.স.) : বিজেপির ডেপুটশনে হামলার ঘটনায় জেলা সম্পাদক ও মহিলা মোর্চার জেলা নেত্রী সহ আহত ১৪ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল।অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় পুলিশের ভুমিকায় উঠল প্রশ্ন। বৃহঃস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের লাউদোহা-ফরিদপুর বিডিও অফিসে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, বৃহঃস্পতিবার রাজ্যব্যাপী বিজেপির উত্থান দিবস উপলক্ষ্যে নানান কর্মসূচী ছিল। সেই মতো বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দুই মহকুমায় ও জেলার ৮ ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসুচী ছিল। এদিন দুর্গাপুরের লাউদোহা ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির জেলা সম্পাদক জীতেন চট্টোপাধ্যায় ও দলের মহিলা মোর্চার জেলা সম্পাদিকা সোনালি চট্টোপাধ্যায় নেতৃত্ব প্রায় আড়াই’শ কর্মী সমর্থক। মিছিল করে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিয়ে বেরনোর পরই আচমকা একদল তৃণমূলকর্মী হমলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় জীতেনবাবু ও সোনালিদেবী সহ প্রায় ১৪ জন। তাদের দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্মদাস গোপ নামে এক বিজপিকর্মীর পা ভেঙে যায়। আহত বিজেপি নেতা জীতেন চট্টোপাধ্যায় জানান,\” বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়ার আগাম সূচনা দেওয়া ছিল পুলিশ প্রশাসনের কাছে। কিন্তু এদিন বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব প্রায় শ’খানেক তৃণমূলি গুন্ডা লাঠি রড নিয়ে হামলা চালায়। নিরাপত্তার বদলে লাউদোহা থানার ওসি মারধর করার নেতৃত্ব দিচ্ছিল। পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারও আমাদের ওপর বেপরওয়া লাঠিচার্জ করে। তৃণমূলি গুন্ডারা মহিলাদেরকে মারধর করে, এমনকি মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নেয়।\” ঘটনায় আহতদের দুর্গাপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মন ঘড়ুই। এবং লাউদোহা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। জেলা সভাপতি লক্ষ্মন ঘড়ুই জানান,\” আগাম সুচনা স্বত্ত্বেও ডেপুটেশন দেওয়া এলাকায় এত তৃণমূলকর্মী পৌঁছায় কি করে? পুলিশ ও তৃণমূল সুপরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। তিনদিনের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।\” যদিও তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন জানান,\” ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নন। বক্তব্যে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে ব্যক্তওগ আক্রমন করার জন্য গ্রামবাসীরা বরদাস্ত করতে পারেনি। প্রতিবাদ করেছে।\” অন্যদিকে আসানসোল-দুর্গাপুর ডিসি অভিষেক মোদী জানান,\” পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঘটনার তদন্ত চলছে।