BRAKING NEWS

আধার লিঙ্ক ইস্যুতে এবার তৃণমূল বিধায়কের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ১০ নভেম্বর (হি.স.) : আধার নম্বরের সঙ্গে মোবাইল ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। সেই আর্জি শুনতে চাইল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আধার নিয়ে আলাদা করে শুনানি হবে না। এই মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি হবে। আবেদন জানাতে হলে সাংবিধানিক বেঞ্চেই জানাতে হবে।
এদিন বিচারপতি একে সিকরি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ জানায়, “আধার সংযোগ বিরোধিতায় অনেক পিটিশনের শুনানি ইতিমধ্যেই বাকি আছে। একই ইস্যুতে হাজার পিটিশন আমরা কেন শুনব ? অন্যান্য পিটিশনে ইতিমধ্যেই বিষয়গুলি উত্থাপিত হয়েছে।” এরপর আবেদনকারীকে সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে বলে বিচারপতিদের বেঞ্চ। মহুয়া মৈত্রকে ওই বেঞ্চে ইমপ্লিডমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি একে সিকরি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ।
গত ২৫ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, তাঁর মোবাইল কানেকশন কেটে দেওয়া হলেও তিনি আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করবেন না। এরপর রাজ্য সরকার ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। প্রশ্ন তোলা হয় আধার কার্ডের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে। তবে তা সুখকর হয়নি। ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে কার্যত মুখ পোড়ে রাজ্য সরকারের। আদালত জানিয়ে দেয়, সংসদে পাশ হওয়া আইনকে কোনও রাজ্য সরকার চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। একইসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, আধার নিয়ে আপত্তি থাকলে ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর্টের দ্বারস্থ হতেই পারেন। কিন্তু কোনও রাজ্য সরকার পারে না। সাধারণ নাগরিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিটিশন ফাইল করলে তা শোনা হবে।
এরপর করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র আধার নম্বরের সঙ্গে মোবাইল ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল করেন। যা শুনতে চায়নি বিচারপতিদের বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ করার সময়সীমা শেষ হচ্ছে অাগামী ৩১ ডিসেম্বর। মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার সংযোগ করার শেষ দিন ৬ ফেব্রুয়ারি। এই বিষয়টির উল্লেখ মেসেজে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেয় বিচারপতিদের বেঞ্চ। ওই দিন, কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্যও জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। তবে আধার নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *