BRAKING NEWS

হজ যাত্রায় ভর্তুকি বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি, ৩ নভেম্বর (হি.স.): এবার থেকে মুসলমানদের হজ যাত্রায় ভর্তুকি বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এখন নীতি ধর্মে নয়, ভর্তুকি দেওয়া হোক শিক্ষায়। তাই, ২০১৮ সাল থেকে হজে ভর্তুকি তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই হজ যাত্রার খরচ বহন করবে না আর সরকার। প্রসঙ্গত, হজ যাত্রায় বছরে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
ধর্মের নাম অপচয় বন্ধ হোক। পরিবর্তে বিনিয়োগ করা হোক শিক্ষা ও উন্নয়নে। ক্রমশই দেশজুড়ে জোরাল হচ্ছিল এই দাবি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হজ নীতি খতিয়ে দেখতে এক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। সদ্য রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই কমিটি। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছরই হজ যাত্রা নিয়ে সমস্ত সরকারি ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে ওই কমিটি। হজ নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক, হজ কমিশন ও এয়ার ইন্ডিয়ার মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানেই কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয় যে আগামী বছর থেকে হজ যাত্রায় আর ভর্তুকি দেওয়া হবে না। ২০১২ সালে হজ যাত্রা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে ভর্তুকি কমানো এবং ২০২২ সালের মধ্যে সেটি পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে কার্যকর করতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই রায়ে কেন্দ্রকে হজ যাত্রায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বদলে সেই অর্থ মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও উন্নয়নে খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতি বছর মক্কায় হজ যাত্রায় অংশ নেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার জন ভারতীয় হজ কমিটির আর্থিক সাহায্যে মক্কা যান। বাকি ৪৫ হাজার দর্শনার্থীকে স্পনসর করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। এর আগে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, প্রতি বছর হজ যাত্রার ভর্তুকির জন্য কেন্দ্র খরচ করে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। তার বদলে ওই বিপুল অর্থ মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও সামাজিক কল্যাণে ব্যবহার করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের মনোভাব বুঝিয়ে দিল ভর্তুকির দিন শেষ। সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে নজর দেওয়াই এখন কেন্দ্রের এন ডি এ সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *