ওয়াশিংটন, ১ নভেম্বর (হি.স.) : মার্কিন মুলুকে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের হামলার জেরে কড়া সিদ্ধান্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।দেশের এই প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে আমেরিকায় বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কড়া পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট৷
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নাশকতা চালায় এক জঙ্গি। সাইকেল চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় ট্রাক নিয়ে ঢুকে পড়ে জঙ্গি৷ প্রাণ যায় আট জনের। জখম হয়েছেন ১১ জন। স্বভাবতই এই ঘটনা ঘিরে উদ্বিগ্ন হোয়াইট হাউস। দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন যে ৯/১১ ঘটনার পরে এটাই আমেরিকায় ঘটে যাওয়া সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। একইসঙ্গে তিনি ট্যুইটারে লেখেন, “দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে আমেরিকায় পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরও কড়া পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একইসঙ্গে সমালোচকদের কটাক্ষ করে তিনি আরও লিখেছেন, “রাজনৈতিকভাবে সঠিক থাকা ভালো, তবে সব ক্ষেত্রে তা কাম্য নয়। দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তো একেবারেই নয়।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, গত সপ্তাহেই আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বিমান যাত্রীদের কড়া পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল গ্লোবাল এয়ারলাইনস।
এই ঘটনায় জড়িত জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সইফুল্লা হাবিবুল্লাইভিক সাইপোভ৷ ২৯ বছর বয়সী সইফুল্লা আদপে উজবেকিস্তানের বাসিন্দা৷ ২০১০ সালে মার্কিন মুলুকে আসে। হামলার জন্য নিউজার্সি থেকে ট্রাকটি ভাড়া নেয় সইফুল্লা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার পর ধৃত জঙ্গি ‘আল্লাহ আকবর’ বলে চিৎকার করে হামলাকারী৷
প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার আগে নির্বাচনের সময় থেকেই আমেরিকায় ভিন রাজ্যের পর্যটক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। মূলত মুসলিম প্রধান দেশগুলির জন্য এই সতর্কতার কথা বলতেন তিনি। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে প্রতে হয়েছিল তাঁকে। ক্ষমতায় ফিরে বহু মুসলিম রাষ্ট্রের পর্যটকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। প্রশাসন পরিচালনা করতে যা বেশ দূরহ বিষয় ছিল। প্রবল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেও তা করে দেখিয়েছিলেন তিনি। ১১টি দেশের শরণার্থীদের আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প প্রশাসন। যেগুলির অধিকাংশই মুসলিম অধ্যুষিত। দীর্ঘ ১২০ দিন পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। নিউ ইয়র্কের ঘটনার পর অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা ফের চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।