প্রথম দফার বন্যায় রাজ্যে প্রায় আশি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, রাস্তাঘাট সংস্কার নিয়ে চিন্তিত পূর্ত দপ্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ প্রথম দফার বন্যায় রাজ্যে প্রায় আশি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল এবং রাস্তাঘাটের৷ এখনও পর্যন্ত পূর্ত দপ্তর রাস্তাঘাট সংস্কার করার কাজ ঠিক মতো শুরু করতে পারছে না৷ ফলে, শহর আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশের রাস্তাঘাট খানাখন্দে পরিণত হয়ে রয়েছে৷
মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে বন্যায় রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বাঁধ ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা৷ ফসল নষ্ট হয়েছে ৩৭ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫ হাজার টাকার৷ ঐ বন্যায় মোট ৮৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল৷ তাতে ১০ হাজার ৬৫৯ পরিবার শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ বিস্তারিত তথ্যে জানা গিয়েছে, ঐসময় সদর মহকুমায় ৯ হাজার ৬২২, জিরানীয়ায় ৩৭২, মোহনপুরে ৩২, কৈলাসহরে ১৯১, কুমারঘাটে ৪৩, বিশালগড়ে ৫০, জম্পুইজলায় ১৩, খোয়াইয়ে ১৬৭ এবং তেলিয়ামুড়ায় ১৬৯ পরিবার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল৷ বন্যায় ৯২টি বাড়ি পুরো ধবংস হয়েছে৷ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে ৫২৭ টি বাড়ি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৪৭২টি বাড়ি৷ জানা গিয়েছে, পুরো ধবংস হয়েছে এমন বাড়ির মালিক ৯৫ হাজার টাকা, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এমন বাড়ির মালিক ৫০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন বাড়ির মালিককে ন্যুনতম ৩ হাজার টাকা দুর্য্যোগ মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য দুর্য্যোগ মোকাবিলা দপ্তর একটি বৈঠক করেছে৷ বৈঠকের সিদ্ধান্তক্রমে ক্ষতিপূরণ বাবাদ ১৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, পশ্চিম জেলার জেলা শাসককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ৫ কোটি টাকা, সিপাহীজলা, খোয়াই, ঊনকোটি জেলার জেলা শাসকদের ১ কোটি টাকা করে এবং বাকি চার জেলার জেলা শাসকদের ৫০ লক্ষ টাকা করে ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, কৃষি দপ্তরকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, মৎস্য দপ্তরকে ১ কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ দপ্তরকে ২ কোটি টাকা এখনই দেওয়া হবে৷ এদিকে, চলতি মাসের বন্যার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০টি ত্রাণ শিবিরে ১৩৯৪টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল৷ তাদের অনেকেই বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে৷