জলপাইগুড়ি , ৬ আগস্ট (হি.স ) , শেষ রবিবারে প্রচারের ধুম ধূপগুড়ি পুর নির্বাচনে | শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন ডাক্তার, অধ্যক্ষ, শিক্ষকেরা। শাসকদলের পাশাপাশি বিজেপি, সিপিএম প্রচার করলেন | কংগ্রেসের প্রচারে তেমন দাগ কাটার মতো ছিল না।
ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ১৩টি, সিপিএম ২টি এবং বিজেপি ১টি আসন। মোট ১৬টি আসনে ৫৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। একমাত্র কংগ্রেস ৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিলেও তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। ২টি আসনে নির্দল দাঁড়িয়েছে। আগামী রবিবার ১৩ আগস্ট ধূপগুড়ি পুরসভার নির্বাচন হবে। তার আগে শেষ রবিবার এদিন ছিল প্রচারের ধুম । জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি অনিল বিশ্বাস এবং জলপাইগুড়ি আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, বর্তমান সরকার শিক্ষক, অধ্যাপকদের জন্য অনেক ব্যবস্থা যেমন স্বাস্থ্য ভাতা বাড়িয়েছেন। অবসের পর কাজের সুবিধা দিয়েছেন। শিক্ষাঙ্গনে পড়াশুনার পরিকাঠামো উন্নতি করেছেন। তাই আমরা ধূপগুড়ি পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রাথীদের হয়ে প্রচারে নেমেছি। ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা এবং অনিন্দ্য সাহা, স্বপন ব্যানার্জির এদিন প্রচার করেন। আমরা রাজ্যে উন্নয়নের গতিধারা দেখে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দেখে খুশি। তাই প্রচারে এসেছি তৃণমূলের হয়ে। এদিন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, দুজনেই প্রচার করেন।সাংসদ বিজয় বর্মন প্রচারে নামেন।
সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ধুপগুড়ি পুরসভায় তৃণমূল গত দুই বছরে রাস্তাঘাট,পানীয় জল, বিদ্যুৎ, ঘরবাড়ি নির্মানের মতো গুরুত্বপুর্ন কাজ করেছি । উন্নয়নের কাজ নিয়েই আমরা এবার পুরভোটে সবকটি আসনেই জিতবো । সিপিএমের ৭ নম্বরের প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিধায়ক মমতা রায় জানান, ধুপগুড়ি পুর বোর্ডে তৃণমূল বহু স্বজন পোষণ, আর্থিক অনিয়ম করেছে। এবার মানুষ আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।
বিজেপি র জেলা সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, বিজেপি কে মানুষ পছন্দ করছে। তাই পুরবোর্ডে ক্ষমতায় আসতে বাকি।তবে গতবার বিজেপির ১ টি আসন ছিল।এবার আসন শুধু বৃদ্ধি করে ক্ষমতা দখল নয়, নিজেদের ভোটও বাড়বে বলে দেবাশিসবাবু দাবী করেছেন।সিপিএম, তৃণমূল বাড়ি বাড়ি প্রচারে ব্যস্থ থাকলেও কংগ্রেসকে দেখা যায়নি। যদিও প্রচার জোর কদমে হচ্ছে বলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার দাবী করেছেন।বিজেপি ও সিপিএম এদিন কয়েকটি বাড়িতে তৃণমূলের মতো প্রচার করলেও তৃণমূলের দুই মন্ত্রী বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, আদিবাসী মন্ত্রী জেমস কুজুর সাত সকালেই প্রচার করে যানএদিন পুর এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী প্রার্থীদের প্রচার করেন।ঢোল বাজিয়ে,মাদল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ বিশালাকার রাখি নিয়ে প্রচার করা হয় অভিনব ঢঙে।