BRAKING NEWS

সিপাহীজলায় নির্বিচারে বন নিধন, বিস্তর কাঠ উদ্ধার, গ্রেপ্তার নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৮ জুলাই৷৷ সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চড়িলাম সহ সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন স্থানে

শনিবার চড়িলামের মাদ্রাসামুড়ায় উদ্ধার করা হয় বিস্তর পরিমান কাঠ৷ ছবি নিজস্ব৷

অবৈধভাবে স মিল ও কাঠ চেরাইয়ের কারখানা গড়ে উঠেছে৷ সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যদিও করাত কল বা স মিল গড়ে উঠেছে বনকর্মীদের একাংশের প্রচ্ছন্ন মদতেই৷ যদি তা না হয় তাহলে এই অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে বন দপ্তর তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না৷ শুধুমাত্র বনজ সম্পদ উদ্ধার এবং স মিল বাজেয়াপ্ত করাতেই থেমে থাকতো না বনকর্মীরা৷
বহু দামী গাছ কেটে নিচ্ছে বনদস্যুরা৷ দুনম্বরী প্রথায় সিপাহীজলা অভয়ার- ণ্যের কাছেই অবস্থিত চন্দ্রগর ও নদীলাকের মতো এলাকায় কাঠ চেরাই করে পাচার করতে দেখা গেছে৷ বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা গাছ কেটে নিয়ে চেরাই করে কাঠে রূপান্তর করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিচ্ছে বন দপ্তরের কর্মীদের চোখের সামনে দিয়ে৷ অভিযোগ উঠেছে বন দপ্তরের একাংশ কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে৷
শনিবার চড়িলামের মাদ্রাসামুড়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ দেবের বাড়ী থেকে প্রচুর পরিমাণে বেআইনী কাঠ উদ্ধার করেছে বিশালগড় এসডিএফও সুমেন দাস৷ তবে এই কাঠের মালিককে আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে বরাবরের মতোই৷ এসডিএফও জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সাতসকালে সুমেন দাস বন দপ্তরের কিছু কর্মীকে নিয়ে এলাকায় অভিযান চালান৷ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এলাকার কিছু সচেতন নাগরিক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, এসব দুম্বরী কাঠ অসাধু ব্যবসায়ীরা বন দপ্তরের দুর্নীতিগ্রস্থ আধিকারীকদের ম্যানেজ করে এসব করছে৷
বিশালগড়ের ডিএফও বেশ কিছু অভিযান চালাচ্ছেন৷ প্রতিদিন কোথাও না কোথাও অভিযান চালানো হচ্ছে৷ একশ্রেণীর সচেতন নাগরিক এসডিএফও প্রশংসা করেছেন৷ তবে, এসডিএফও জানিয়েছেন, আগামীদিনেও এই ধরনের অভিযান জারি থাকবে৷ তিনি বলেন, এসব দুনম্বরী ব্যবসার সাথে যারা যুক্ত এবং স মিল গুলির মালিক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *