নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনামুড়া, ২৫ জুন৷৷ ধর্মীয় রং দিয়ে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷
ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মেলাঘরে নয়দিন ব্যাপী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজ্যে যে মেলা আয়োজিত হয় তার সঙ্গে রাজ্য সরকার সংসৃকতিকে যুক্ত করেছে৷ তাতে উৎসবের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই উৎসবগুলি এখন আর বিশেষ কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ এই উৎসবগুলি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে এ ধরনের অনুষ্ঠানকে ধর্মীয় রং দিয়ে ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে৷ আমাদের রাজ্যে সকল অংশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে৷ সুস্থ সংসৃকতির মধ্য দিয়ে মানুষের চেতনার বিকাশ ঘটছে৷ সচেতন মানুষ সম্প্রীতি নষ্টের অপপ্রয়াসকে প্রতিহত করছেন৷ রাজ্যে গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে বলেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে করতে পারছেন৷ এই পরিবেশ বজায় রাখার উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷
মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন সুরেশ দাস বলেন, মেলাঘরের রথের মেলার ঐতিহ্য রয়েছে৷ প্রতি বৎসর এই মেলার প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে৷ মেলাকে সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুর পরিষদ সহ বিভিন্ন দপ্তর সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল বিশ্বনাথ সাহা, সোনামুড়া মহকুমা শাসক সুমিত লোধ প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিপাহীজলা জেলা তথ্য ও সংসৃকতি কার্যালয়ের তথ্য আধিকারিক অমৃত দেববর্মা৷ মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷
মেলাঘরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উপলক্ষ্যে নয়দিন ব্যাপী মেলা ও সাংসৃকতিক উৎসব শুরু হয়েছে৷ গতকাল সন্ধ্যায় মেলাঘর জগন্নাথ বাড়ী প্রাঙ্গণে এই মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন সুরেশ দাস৷
2017-06-26
