নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন৷৷ আসন্ন বিধানসভায় নির্বাচনের আগে ছয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে পার্টিতে নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও তীব্র হয়েছে৷ যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাম বিরোাধী ভোট ভাগাভাগি রুখতে তৃণমূল বিধায়কদের বিজেপিতে নিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন৷ বিজেপির প্রদেশ কমিটির এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, রাজ্যস্তরের অধিকাংশ নেতা তৃণমূল বিধায়কদের পার্টিতে নিতে আগ্রহী নন৷ কারণ তাদছরে দ্বারা ইতিপূর্বে রাজ্য বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগও রয়েছে৷ ঐ নেতা জানিয়েছেন, বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রামমাধব এবং অসমের অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিরোধী দলের বিধায়কদের বিজেপিতে সামিল করে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন৷ তাদের এই মতামত সর্বভারতীয় সভাপতির কাছ্যে গেছে৷ কিন্তু, ইতিপূর্বে এই ছয় বিধায়কের সঙ্গে থাকা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ জীতেন সরকার গতকাল যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তাতে বিরোধী বিধায়কদের বিজেপিতে সামিল করা নিয়ে জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
উল্লেখ করা যেতে পারে বিজেপিতে যোগদানের পর জীতেন সরকার বলেছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে না গিয়ে সরাসরি বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়ে তিনি পক্ষপাতী ছিলেন৷ সেই অনুযায়ী তারা দিল্লীতে গিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন৷ কিন্তু, সুদীপ রায় বর্মন তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি প্রয়াত সুধীন্দ্র দাশগুপ্তকে সরিয়ে তাকেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি করার শর্ত রাখেন৷ তাছাড়া তিনি আরও অনেক অনৈতিক দাবীও করেন৷ যা মানতে রাজি হয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ জীতেন সরকার জানান তিনি তৃণমূলে যেতে রাজি হয়নি৷ এজন্য তিনি হেনস্তার শিকার হন৷ পালিয়ে গিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে তাকে ছয় ঘন্টা কাটাতে হয়েছে৷ এই বক্তব্যের পর সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্যদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা যথেষ্ট ধাক্কা খেল বলে বিজেপির রাজ্য নেতারাই মনে করছেন৷
2017-06-13

