নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩১ মে৷৷ সরকারি অর্থ লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক প্রধানের বিরুদ্ধে৷ দীর্ঘদিন আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বন্টন করা এবং সরকার অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল খোদ প্রধানের বিরুদ্ধে৷ আর্থিক দুর্নীতি জন সমক্ষে প্রকাশ হতেই এলাকায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে৷ ঘটনা চড়িলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত রামছড়া পঞ্চায়েতে৷ প্রধান রত্না মজুমদার শাসক দলের সক্রিয় কর্মী হওয়ার সুবাদে নেতারাও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ৷ খবরে জানা যায়, পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে এই পঞ্চায়েতের অধীন বসবাসকারী মৎস্যজীবিদের জন্য বেড়জাল বরাদ্ধ হয়৷ প্রধান রত্না মজুমদার এলাকার মৎস্যজীবীদের না জানিয়ে নিজের ছেলে, দেওর, ছেলের শ্বশুর ও ছেলের কাকা শ্বশুড়ের নাম দিয়ে কাউকে না জানিয়ে বেড়জাল নিয়ে আসে৷ যার বাজারমূল্য ৪২,৫০০ টাকা৷ তাছাড়া পি আর ডি এ ফান্ডে এলাকার গরীবদের জন্য ছাগল পালনের ঋণ আসে৷ সেই ঋণের টাকাও আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ৷ ভুয়ো নাম দিয়ে সুবিধাগুলি হাসিল করা হয়৷ গত মাসে মাখন লাল সরকারের নামে ঋণ তোলা হয়৷ অথচ এই নামে কেউ নেই বলে অভিযোগ৷ পঞ্চায়েত প্রধানের এই সব দুর্নীতিগুলি তথা প্রমান সহকারে চড়িলাম ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুমন দেবনাথের নেতৃত্বে গত শনিবার চড়িলাম ব্লকের বিডিও শান্তনু বিকাশ দাসের নিকট ডেপুটেশন দেয়৷ সুমনবাবু বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেন প্রধান রত্না মজুমদার কাউকে না জানিয়ে ৪২,৫০০ টাকার বেড়জাল দক্ষিণ চড়িলামের এক মৎস্যজীবী নরেন্দ্র দাসের নিকট বিক্রি করে দেয়৷ বিডিও যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের তদন্ত করার আশ্বাস দেয় বলে জানা যায়৷ তবে প্রধানের এই দূর্নীতির তথ্য বেড়িয়ে আসতেই শাসক দলের কর্মী ও নেতারা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে৷
2017-06-01

