নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ মে৷৷ শিক্ষক নিয়োগে টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ এর পর চাকুরী বাতিল হচ্ছে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের৷ তাই বিরাট এই শূন্যপদ পূরণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মের আগেই টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে অস্নাতক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষক মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ১৪২ জন শিক্ষক নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবেদন করতে হবে অনলাইনে৷ অস্নাতক শূন্যপদ পূরণ করা হবে ৬,৪২২ টি এবং স্নাতকে ১,৪৭০ টি৷ স্নাতক (বিষয় ভিত্তিক) শূণ্যপদ পূরণ করা হবে ৪,৮৫৬ টি এবং স্নাতকোত্তর (বিষয় ভিত্তিক) পূরণ করা হবে ১,৩৯৪ টি৷
এদিকে, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের আবেদন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়েনি৷ বিএড এবং মার্কসে ছাড় চেয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ একাধিকবার এই আবেদনে মঞ্জুরীর জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবারও করেছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোন সাড়া মিলেনি৷ তাই, শিক্ষক নিয়োগে টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও আগামী দিনে যদি ছাড় মিলে তাহলে প্রার্থীরা তা নিতে পারবেন৷ এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে ২০০২, ২০০৬ এবং ২০০৯ সালে যারা শিক্ষক পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করেছিলেন তারাও এবার টেট দেওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ তবে, শিক্ষাগত ও তৎসঙ্গে আনুসঙ্গিক যোগ্যতা থাকলেই টেট দিতে পারবেন প্রার্থীরা৷ এক্ষেত্রে এনসিটিই এর নির্দেশিকা মেনেই প্রার্থীদের টেটে বসার সুযোগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷
রাজ্য সরকার একত্রে চৌদ্দ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিলেও যোগ্যতার নিরিখে কতজন প্রার্থী টেটে বসতে পারবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে৷ শিক্ষা দপ্তরের জনৈক আধিকারীকের মতে ১০, ৩২৩ জন চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে চার কিংবা সাড়ে চার হাজার এমন প্রার্থী পাওয়া যেতে পারে যারা টেটে বসার জন্য যোগ্য৷ কিন্তু, বাকিদের পক্ষে কোনও ভাবেই টেটে বসা নিয়মের গ্যাঁড়াকলে সম্ভব হচ্ছে না৷ তাছাড়া, নতুন প্রার্থীর সংখ্যাও খুবই নগন্য৷ কারণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবে রাজ্যে বিএড কিংবা ডিএড ডিগ্রী ও সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ সীমিত৷ তাছাড়া, গত কয়েক বারের টেট-এ দেখা গিয়েছে চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছেন না৷ স্বাভাবিক ভাবেই চৌদ্দ হাজারের বেশি টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক পেতে রাজ্য সরকারের কালঘাম ছুটবে বলেই ধারণা৷