শ্রীনগর, ২৮ মে (হি.স.) : হিজ়বুল মুজাহিদিন জঙ্গি সবজ়ার আহমেদ ভাটের মৃত্যুর পরে ফের উত্তপ্ত উপত্যকা । নিরাপত্তার খাতিরে উপত্যকা জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অনন্তনাগ, বুদগাঁও, গন্দরওয়াল ও পুলওয়ামা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে ক্ষুব্ধ জনতার। সবজ়ারের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রবিবার থেকে দুদিন ধরে উপত্যকায় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্সের তরফে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
গতবছর বুরহানের মৃত্যুর পরে তৎকালীন হিজবুল নেতা জাকির মুসা সবজারকে নেতা বাছে । সবজার সম্প্রতি শ্রীনগরে ঘুরে যায়। কাশ্মীরে বনধ করার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেই ফাঁকে পরিস্থিতি গোলমেলে করার মতলব করা হয়েছিল। এই সবজ়ারের মৃত্যুর পরে নিরাপত্তার খাতিরে উপত্যকা জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অনন্তনাগ, বুদগাঁও, গন্দরওয়াল ও পুলওয়ামা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে ক্ষুব্ধ জনতার। সবজ়ারের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ থেকে দুদিন ধরে উপত্যকায় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্সের তরফে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, গতবছরের জুলাইয়ে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানিকে এনকাউন্টারে নিকেশ করে নিরাপত্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তারপর গত একবছরে দফায় দফায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীর। তারই মাঝে শনিবার হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি তথা বুরহান ওয়ানির উত্তরসুরী সবজার আহমেদকে নিরাপত্তারক্ষীরা খতম করেছে। পুলিশের সূত্র বলছে, সবজার আহমেদ ওরফে আবু জরার পুলওয়ামার ত্রালে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে। সে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে। সঙ্গে ছিল আরও দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে এক পাকিস্তানি জঙ্গিও ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদের সকলকেই ঘরিরে ফেলে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা।শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ত্রাল এলাকায় অপারেশন শুরু হয়। এদিন সকালেও পুলিশ-জঙ্গি গুলি বিনিময় চলেছে। শনিবার দুপুরেও পুলিশের এনকাউন্টারের খবর এসেছে।আহত হয় ১২ জন।