গুয়াহাটি, ২৬ মে, (হি.স.) : সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ সুখই সু-৩০ যুদ্ধবিমানের। ভারত-চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের দউলাসাং এলাকার ঘন জঙ্গলে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই তথ্য দিয়ে তেজপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনান্ট কর্নেল সম্বিৎ ঘোষ ‘হিন্দুস্তান সমাচার’কে জানান, বায়ুসেনার শালিনিবাড়ি (তেজপুর) বিমানঘাঁটি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চীন সীমান্তবর্তী দউলাঙের পাহাড়ি ঘন জঙ্গলে সুখই-৩০ যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেছে। এখান থেকেই যুদ্ধবিমানটির সঙ্গে রাডার মারফত রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার দরুন উদ্ধার অভিযান এখনও শুরু করা সম্ভবপর হচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে বিমানের দুই পাইলটের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে শংকা ব্যক্ত করেছেন মুখপাত্র লেফটেনান্ট কর্নেল।
৩০০০ কিলোমিটার বেগী যুদ্ধবিমানখানা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে না-অন্য কিছু, তা নিয়ে ঘণীভূত হচ্ছিল শঙ্কা। কেউ কেউ তাকে ভারত-চীন সীমান্তে পড়তে পারে বলে মনে করলেও পড়শি দেশ তা সরাসরি নস্যাৎ করে দিয়েছিল। উল্লেখ্য, তেজপুর সেনাবাহিনীর বিমানঘাঁটিটি চীন সীমান্ত থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অসমের শোণিতপুর জেলার তেজপুরের শালিনিবাড়ি বায়ুসেনা বিমানঘাঁটি থেকে দুই পাইলটকে নিয়ে রুটিন মহড়ায় আকাশে উড়েছিল সুখই-৩০ যুদ্ধবিমানটি। ঘণ্টাখানেক সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু বেলা প্রায় সাড়ে এগারোটার পর থেকে তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাডারের। শেষ সম্পর্ক হয়েছিল শোণিতপুর ও লখিমপুরের সীমান্তবর্তী নারাইনপুরের বরডুবিয়া এলাকায়। তবে এর অবস্থান ধরা পড়েছিল ভারত-চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের দউলাসাং এলাকায়। জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনান্ট কর্নেল সম্বিৎ ঘোষ।
নিখোঁজ সুখই-৩০-এর সন্ধানে সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে তালাশি অভিযান জোরদার করেছিল বায়ুসেনার সি-১৩০ বিমান এবং চেতক হেলিকপ্টার-সহ তাঁদের চার, ভারতীয় পদাতিক সেনাবাহিনীর নয়, এসএসবি, আইটিবিপি, সিআরপিএফ জওয়ানদের পাশাপাশি অসামরিক বিভাগের ১৬টি দল। সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় মানুষজন।