নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ মে৷৷ বিধানসভায় বিজেপি’র হয়ে সওয়াল করেছিলেন৷ এবার সোজা বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সাথে দেখা করতে চলে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক রতন লাল নাথ৷ সাথে নিয়ে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক দিলীপ সরকার এবং সদ্য সিপিএমে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক জিতেন সরকারকে৷ তাদের সাথে ছিলেন কংগ্রেস দুই কাউন্সিলার হিমানী দেববর্মা এবং সম্পা সরকার চৌধুরীও৷ শনিবার তাঁরা দীর্ঘক্ষণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সাথে বৈঠক করেছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে৷
গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস বিধায়ক রতন লাল নাথ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে চর্চা হচ্ছিল৷ বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তিনি বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সওয়ালও করেছিলেন৷ সম্প্রতি, কলকাতা বিমানবন্দরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেবের সাথে তিনি দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও করেছেন৷ ফলে, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে বিস্তর আলোচনা চলছে৷ এরই মাঝে শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যে আসতেই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি রতনবাবু৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত তিনি৷ তাই, শনিবার রাতে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সাথে দেখা করতে একা যাননি৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দিলীপ সরকার এবং সদ্য বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সিপিএমে যোগ দেওয়া জিতেন সরকারকেও সাথে নিয়ে গেছেন৷ দল ভারি করার জন্য কংগ্রেসের দুই পুর কাউন্সিলার হিমানী দেববর্মা এবং সম্পা সরকার চৌধুরীকেও তিনি সাথে নিয়েছেন৷
সম্প্রতি, বিজেপি’র রাজ্য প্রভারি সুনীল দেওধর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দিলীপ সরকারের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছেন৷ সুদীপ বর্মণ ছাড়া তৃণমূলের বাকি সব বিধায়কদের বিজেপি গ্রহণ করবে বলেও রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন৷ এমন পরিস্থিতিতে দিলীপ সরকারের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সাথে বৈঠক, ধারণা করা হচ্ছে ভাঙতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সাথে ভাঙছে কংগ্রেস৷
সূত্রের দাবি, এখনই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না৷ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্ মুহুর্তে সদলবলে তাঁরা পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন৷ তা নিয়েই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সাথে এক প্রস্থ বৈঠক সেরে নিয়েছেন রতনবাবুরা৷ সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের বিষয়ে কোন আপত্তি না থাকায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিও সবুজ সংকেত দিয়েছেন৷