নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ৪ মে৷৷ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বীমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ জানা গেছে, বিলোনীয়ায় বাণিবিদ্যাপীঠ এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ চন্দ্র দে’র বীমার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ ২০১৪ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি এলআইসি’র বন্ড শেয়ারে টাকা জমা রাখেন৷ পলিসি নাম্বার ৪৯৩৯৭৫৩৮৩-তে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৬০ টাকা এবং ৪৯৩৯৭৫৩৮৪-তে ৯৮ হাজার ৫৪০ টাকা জমা রেখে ছিলেন৷ গত দুই মে তিনি এলআইসি’র বিলোনীয়া ব্রাঞ্চে ঐ দুটি পলিসি থেকে ঋণ নেওয়ার আবেদন জানান৷ কিন্তু তাকে জানানো হয় আগেই ঐ দুটি পলিসি থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে৷ এবিষয়ে তাকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১টি পলিসি থেকে ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং আরেকটি পলিসি থেকে ২০১৬ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারী ৪৯ হাজার ২৫০ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে৷ এই দুটি ঋণ যে ব্যাঙ্ক একাউন্টে পাঠানো হয়েছে তার তথ্যও তাকে দেওয়া হয়েছে৷ জানা গেছে, ইউবিআই উদয়পুর ব্রাঞ্চে ০৪৬২০১০২৪৮৮১৫ এবং ০৪৬২০১০২৫৪৭৮৬ একাউন্ট নম্বরে ঋণের টাকা পাঠিয়েছে এলআইসি৷ এই ঘটনা শুনে হতবাক সন্তোষ চন্দ্র দে৷ তিনি জানান, তার কাছে বন্ডের সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে৷ সেই কাগজপত্র ছাড়া অন্য কারও একাউন্টে কিভাবে তার জমানো অর্থ ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, প্রশ্ণ তুলেন তিনি৷ তাতে এলআইসি বিলোনীয়া ব্রাঞ্চ মহা সমস্যায় পড়ে যায়৷ কোথাও গড়মিল হয়েছে বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা তার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন৷ পাশাপাশি অনুরোধ জানান এই বিষয়টি পুলিশে যেন জানানো না হয়৷ কিন্তু এলআইসি আধিকারিকদের উপর বিশ্বাস হারিয়ে তিনি বিলোনীয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন৷ বিলোনীয়া থানা মামলাটি তদন্ত করার জন্য উদয়পুরে পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে৷
উল্লেখ্য, চিটফান্ডে রাজ্যের বহু মানুষের জমানো অর্থ গচ্ছা গেছে৷ এলআইসি’র মতো নামী বীমা সংস্থায় অর্থ গচ্ছিত রেখে এই ধরণের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷