BRAKING NEWS

দ্বাদশ ও মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে সমস্যায় পর্ষদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ মে৷৷ দ্বাদশ এবং মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে মহা সমস্যায় পড়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ সূত্রের খবর, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এক বড় অংশ উত্তরপত্র মূল্যায়নের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না৷ ফলে, বাধ্য হয়ে পর্ষদ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে সর্বশেষ যাদের নিয়োগ করেছিল তাদেরকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে লাগিয়েছে৷ কিন্তু, তাতেই সমস্যা সমাধান হচ্ছে না৷
সূত্রের বক্তব্য, প্রতি শিক্ষককে গড়ে কুড়িটি করে উত্তরপত্র মূল্যায়নের গন্ডি বেঁধে দিয়েছে পর্ষদ৷ কিন্তু, গড়ে ৭ থেকে ৮টি উত্তরপত্র মূল্যায়ণের বেশি করতে পারছেন না শিক্ষকরা৷
এই সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার মহাকরণে শিক্ষা দপ্তরের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বৈঠকে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তারা এবং পর্ষদ সভাপতি উপস্থিত ছিলেন৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রী এই বৈঠকে সমস্যা থেকে উত্তরণের দীশা খঁুজে বের করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন৷ কিন্তু, এদিনের আলোচনা সঠিক কোন দীশা বের হয়নি৷
উল্লেখ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ফলাফল নিয়ে গতবছর বিরাট কেলেংকারী হয়েছিল৷ বহু ছাত্রছাত্রীর ফলাফল ভুলেভরা প্রকাশিত হয়েছিল৷ অবশ্য, এই কেলেংকারীর জন্য দায়ী কারোর বিরুদ্ধেই কোন ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য সরকার৷
পর্ষদের দাবি, এবছর সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে৷ এরজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে৷ ১৫ দিনের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়নের লক্ষ্যামাত্রা নিয়েছিল পর্ষদ৷ কিন্ত, এখন যা পরিস্থিতি তাতে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে কত সময় লাগতে পারে তা নিয়ে চিন্তিত পর্ষদ৷
এদিকে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগে জানা গেছে, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য যে টাকা তাঁদের দেওয়া হয় তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন৷ টাকার পরিমান বাড়ানোর জন্য বহুবার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না৷ এবছর যাঁদের উত্তরপত্র মূল্যায়ণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নানা অজুহাতে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন৷ পর্ষদ তাঁদের কোন চাপও দিতে পারছে না৷ ফলে, এখন রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে পর্ষদ৷ সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এখন এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে৷ কিন্তু, চাপের মুখে উত্তরপত্র মূল্যায়ণে কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে রাজী করানো সম্ভব হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *