গুয়াহাটি, ২২ এপ্রিল, (হি.স.) : এবার রাজ্যের অন্যতম পাহাড়ি জেলার কারবি আংলঙের অন্তর্গত বৈঠালাংসোর রংখাং ব্লকে ইন্দিরা আবাসের প্রায় ৫৯ কোটি টাকার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হামরেন পুলিশ| একজন ফেরার হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করতে পারেনি পুলিশ|
২০১১ সালে রুজু হামরেন থানায় ৩২১১ নম্বরের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মধ্যরাতে গুয়াহাটি মহানগরের বেলতলা অঞ্চলের ওয়ারলেস এলাকায় তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে গ্রামোন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিএ) জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার লতিকা শইকিয়াকে গ্রেফতার করেছে হামরেন পুলিশ| সেই সঙ্গে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই অভিযুক্তকে| তাঁরা ব্লকের গ্রামসেবক মেজি ইংলেং এবং ভিডিসি সদস্য রীতা তিমুংপি| এদিকে একই অভিযোগে কারবি আংলং স্বশাসিত জেলা পরিষদের উপসচিব নিরলা ফাংসোপিকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে পায়নি পুলিশ| তাঁকে ফেরার বলে জানানো হয়েছে| ২০১১ সালে রংখাঙের বিডিও ছিলেন নিরলা|
সাত বছরের আগের মামলার ফাইল রাজ্যের নয়া সরকার খোলায় সন্তোষ ব্যক্ত করেছে বিভিন্ন মহল| মহলের অভিযোগ, ২০১১ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনা খাতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত টাকার সিংহভাগই তদানীন্তন আমলা-কর্মচারী থেকে বিভাগীয় রাঘববোয়ালরা লুটপাট করেছেন| সে অনুযায়ী ওই বছর হামরেন থানায় এক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল| কিন্তু সেই অভিযোগের প্রতি কোনও গুরুত্বই দেয়নি তদানীন্তন সরকারের পুলিশ| এবার রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে পুরনো মামলার ফাইল খোলার নির্দেশ দিলে নড়েচড়ে বয়েছে পুলিশ|
সেই সূত্রে গতকাল মধ্যরাতে কারবি আংলং জেলা ও গুয়াহাটি মহানগরে হানা একই সময়ে হানা দিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনকে প্রথমে আটক করে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে| গতকাল রাতে কারবি আংলঙের বকোলিয়াঘাট থেকে গ্রামসেবক মেজি ইংলেং, ডংমকাম থেকে ভিডিসি-র সদস্য রীতা তিমুংপিকে এবং গুয়াহাটির ওয়ারলেস থেকে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার লতিকা শইকিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ| লতিকা সে সময় রংখাং ব্লকের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন| আজ শনিবার বৈঠালাংসোর হামরেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে|