গুয়াহাটি, ১২ এপ্রিল, (হি.স.) : নগাঁও-মরিগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী ধিঙে অবৈধ হাতে তৈরি এক অস্ত্র কারখানা উৎখাত করেছে পুলিশ। মরিগাঁওয়ের ডিএসপি (প্রবেশনারি) কুলদীপ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক পুলিশ দলের অভিযানে এই অস্ত্র কারখানা উৎখাত করার পাশাপাশি আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পয়েন্ট (.) ৯ এমএম পিস্তলের ১০ রাউন্ড গুলি, পয়েন্ট (.) থ্রি এইট পিস্তলের ছয় রাউন্ড গুলি, পয়েন্ট (.) ২২ পিস্তলের ১৫ রাউন্ড গুলি, নাইন এমএম পিস্তলের ২১টি নল, পয়েন্ট (.) টু টু পিস্তলের ২২টি নল এবং নানা সিরিজের রাইফেল তৈরির সরঞ্জাম।
পুলিশের এক সূত্র আজ বুধবার এই তথ্য দিয়ে জানান, গোয়েন্দা খবর ছিল, ধিং থানার অন্তর্গত খানবস্তিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির এক কারখানার রমরমা চলছে। সেই তথ্যের ওপর ভর করে গত সোমবার রাতে খানবস্তির বাসিন্দা আবদুল জলিলের বাড়িতে হানা দেন ধিঙের এক পুলিশ বাহিনী। এর নেতৃত্ব দেন ডিএসসপি কুলদীপ ভট্টাচার্য (প্রবেশনারি)।
আব্দুলের বাড়িতে হানা দিয়ে মোটেও বেগ পেতে হয়নি পুলিশের। নিজের বাড়িতেই কারখানা গড়ে একবারে খোলা কারবার চালাচ্ছিল ধৃত আবদুল জলিল। তার হাত ধরেই কাজিরঙা, মানস ইত্যাদি জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্যের চোরাশিকারি এবং সমাজবিরোধীদের কাছে চলে যেত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। সে এক-একটি বন্দুক ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে ধৃত আবদুল জলিল।
আবদুলের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র তৈরি ও তা বিক্রি আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দেশবিরোধীদের তথ্য জানতে পুলিশি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।