BRAKING NEWS

রাজামারথান্ডন গ্রেফতারে, অসমের ডিআইজিকে কড়া চিঠি সেন্ট্রাল আইপিএস সংস্থার

গুয়াহাটি, ১১ এপ্রিল (হি.স.) : সিআইডি-র স্পেশাল পুলিশ সুপার আইপিএস ড. এন রাজামারথান্ডনের গ্রেফতারের ঘটনা এখন কেবল অসমেই সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে গিয়েছে জাতীয় স্তরে। জোয়ার ওঠেছে প্রতিবাদের। তাঁর পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে সর্ব ভারতীয় আইপিএস সমাজ। রাজামারথান্ডনকে লঘু দোষে গুরু শাস্তির পিছনে রহস্য এবং চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে আইপিএস সেন্ট্রাল অ্যাসোসিয়েশন। তাই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়ার দাবি তুলেছে সংস্থা। গোটা ঘটনাক্রমের জন্য অসম পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে।
কোন যুক্তিতে সিনিয়র আইপিএস ড. এন রাজামারথান্ডনকে এত বড় শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছে সর্বভারতীয় আইপিএস সংস্থা। অসম পুলিশের ডিআইজি মুকেশ সহায়কে প্রেরিত এক চিঠিতে আইপিএস সেন্ট্রাল অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদাধিকারী আইপিএস পিভি রামাশাস্ত্রী রাজামারথান্ডন সম্পর্কে কয়েকটি জিজ্ঞাসার অবতারনা করেছেন। ডিআইজিকে লেখা চিঠিতে আইপিএস রামাশাস্ত্রী বলেছেন, যে অভিযোগে রাজামারথান্ডনকে গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে সেই অপরাধের অন্য শাস্তিও ছিল। তা হলে কেন সেই রাস্তা নেয়নি অসম পুলিশ? এর পিছনে অন্য গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও লেখা হয়েছে চিঠিতে। এতে রামাশাস্ত্রী বলেছেন, এই অপরাধের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজামারথান্ডনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিন বছরের জন্য অন্য রাজ্যে বদলি করা যেত। তা কেন করা হল না? তাঁকে অন্য রাজ্যে বদলির দাবি জানিয়েছেন রামাশাস্ত্রী। দ্বিতীয়ত কেন তাঁকে আইনি সাহায্য দেওয়া হচ্ছে না। এতে তিনি জামিন না-ও পেতে পারেন বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি। তাই, রাজামারথান্ডনকে শীঘ্র আইনি সাহায্য দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে আইপিএস সেন্ট্রাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।
তাছাড়া, একজন সিনিয়র আইপিএস আধিকারিককে সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে এবং অযথা হয়রান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এর তীব্র প্রতিবাদও করেছে আইপিএস সেন্ট্রাল অ্যাসোসিয়েশন। তৃতীয়ত, গোটা ঘটনাবলির তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তোলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে সংস্থা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, শিলাপথার কাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সিআইডি-র স্পেশাল পুলিশ সুপার আইপিএস এন রাজামারথান্ডনকে ৫ এপ্রিল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আইপিএস রাজামারথান্ডনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক আরটিআই আবেদনের উত্তর দিতে গিয়ে সারা ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতির সভাপতি সুবোধ বিশ্বাস মামলার যাবতীয় গোপন তথ্য তিনি তোলে দিয়েছেন সুবোধ বিশ্বাসের সংগঠন নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অম্বিকা রায়ের হাতে।
তদন্ত তথ্য হস্তান্তর করে শিলাপথার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুবোধ বিশ্বাসের জামিনের পথ প্রশস্ত করেছেন তিনি। এতে তিনি বিশেষাধিকার ভঙ্গ করেছেন বলে মনে করছে রাজ্য গৃহ দফতর। এর পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। পরবর্তীতে আদালতে আবেদন সাপেক্ষে তাঁকে দুদিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর পর গতকাল ফের আদালতে তোলা হলে সিআইডি এসএসপি এন রাজামারথান্ডনকে চোদ্দ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে গুয়াহাটির কামরূপ মেট্রো মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *