বাইক চালকের হিরোগিরির লাগাম টানতে গিয়ে জখম পুলিশ, মামলা গ্রহণে ধন্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৫ মার্চ৷৷ বাইক চালকদের হিরোগিরির লাগাম টানার জন্য সক্রিয় হয়ে গুরুতর জখম হতে হয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মীকে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে খোয়াইয়ের সুভাষ পার্ক এলাকায়৷ পুলিশ অবশ্য আইন ভঙ্গকারী বাইক চালককে আটক করেছে৷ কিন্তু, সমস্যা দেখা দিয়েছে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে৷ জানা গিয়েছে, ধৃত বাইক চালক শাসক দলের এক উপজাতি নেতার গুণধর পুত্র৷
সংবাদে প্রকাশ, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপর চাপ ছিল খোয়াইয়ে উঠতি বয়সের একাংশ যুবক বেপরোয়া ভাবে বাইক চালালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ জনতার চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ময়দানে নামে ট্রাফিক পুলিশ৷ এদিন খোয়াইয়ের পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় সুভাষ পার্কে সামনে কো-অপারেটিভ চৌমুহনীতে যানবাহনের কাগজপত্র চ্যাকিংয়ের জন্য তৎপর হয়৷ সেখানে বেশ কিছু যানবাহন ও বাইক আটক করে কাগজপত্র চ্যাকিং করছিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা৷ সেখানে অন্যান্যদের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক পুলিশকর্মী উত্তম রায়ও৷ তখন টিআর-০১- ৭২৮০ নম্বরের একটি বাইক নিয়ে হিরো মাফিক ছুটে আসছিল পদ্মবিলের পল্লব দেববর্মা (২১)৷ তাকে বাইক থামানোর জন্য সিগন্যাল দেন উত্তম রায়৷ ঐ যুবক উত্তম রায়ের সামনে আসর কিছু আগে বাইকের গতি কমিয়ে দেয়৷ উত্তমবাবু যখন বাইকের কাছে যান তখন ঐ ‘স্টান ম্যান’ পল্লব বাইকের গতি বাড়িয়ে দেয়৷ বাইকের পিছনে টেনে ধরেন উত্তম বাবু৷ কিন্তু, তাঁকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে ছুটে চলে পল্লব৷ তাতে উত্তম রায়ের হাতের একটি আঙুল ভেঙ্গে যায়৷ শরীরের অন্যান্য স্থানেও আঘাত লাগে৷ কোনওরকমে বাইক চালক পল্লব দেববর্মাকে আটক করতে সফল হয় সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ৷ বাইক সহ তাকে স্থানীয় সুভাষপার্ক পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর পল্লব জানায় তার বাবা শাসক দলের স্থানীয় ভিলেজ কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান৷ তার পরিচয় জানতে পেয়ে পুলিশ ধন্দে পড়ে যায় মামলা গ্রহণ করবে কি না৷ তবে খোয়াই থানার পদস্থ অফিসাররা পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে গিয়েছেন৷ পল্লবের পরিবারের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে চলেছেন বলে রাতে সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়েছে৷