গুয়াহাটি, ১৯ মার্চ, (হি.স.) : আগামী দু-একদিন অসম-সহ সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ঝড়-তুফান সঙ্গে শিলাবৃষ্টি আরও বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
গুয়াহাটির আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্র সূত্রের খবরে প্রকাশ, আগামী দু-একদিন রাজ্যের মরিগাঁও, শোণিতপুর, কারবি আংলং, গোলাঘাট, যোরহাট, লখিমপুর, ধেমাজি কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ধুবড়ি, বাকসা, কামরূপ, কামরূপ মহানগর ইত্যাদি জেলার ওপর প্রচণ্ড বেগে ঝড়-তুফান আসতে পারে। ঝড়-তুফান সঙ্গে শিলাবৃষ্টি স্পর্শ করতে পারে শিবাসাগর, তিনসুকিয়া, ডিমা হাসাও, বরপেটা, নলবাড়ি ইত্যাদি জেলাকে। তাছাড়া এর প্রভাব প্রতিবেশী মেঘালয় রাজ্যেও পড়তে পারে বলে আশংকা ব্যক্ত করেছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের এই শংকা-বার্তা পেয়ে অসম রাজ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে কী করণীয় বা কী করা উচিত নয় সে সম্পর্কে মোবাইলে এমএসএস পাঠিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করে দিচ্ছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত দুদিনের ঝড়োবৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাতের কবলে পড়ে গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তছনছ হয়ে গেছে। এতে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পাশাপাশি তিনজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন।
শুক্রবার রাত প্রায় দশটা নাগাদ প্রায় দেড় ঘণ্টা জুড়ে গুয়াহাটি-সহ অসমের বিভিন্ন জেলা যেমন মাজুলি, চরাইদেও, কোকরাঝাড়, বঙাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, বরপেটা, কামরূপ গ্রামীণ, নলবাড়ি, বাকসা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্যাপক ঝড় সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলির গাছ-গাছালি উপড়ে ফেলে অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। মধ্য, নিম্ন ও উজান অসমের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় হাজারখানেক বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বহু এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বহু অঞ্চল। রাস্তায় গাছ পড়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও অচলবস্থার সৃষ্টি করেছে।
বাজ পড়ে মাজুলির জনৈক কৃষ্ণ দাস মারা গেছেন। তাছাড়া বাকসা জেলার শিলপাটায় দুজন এবং গুয়াহাটির নার্সারি এলাকায় রাজপথে চলন্ত এক বাইক আরোহীর ওপর গাছ পড়ে গেলে তিনিও আহত হয়েছেন।