BRAKING NEWS

বন দপ্তরের একাংশ কর্মী ‘বিভীষণ’র ভূমিকায়, মূল্যবান লগ উদ্ধার হলেও বনদস্যুরা পগারপার

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম/আগরতলা, ২৮ জানুয়ারী৷৷ সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে বন নিধন করা হচ্ছে৷

বিশালগড়ে শনিবার উদ্ধার হয় বিস্তর পরিমাণ গাছের লগ৷ ছবি নিজস্ব৷
বিশালগড়ে শনিবার উদ্ধার হয় বিস্তর পরিমাণ গাছের লগ৷ ছবি নিজস্ব৷

সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে৷ এইসব মূল্যবান গাছের লগ গোপন স্থানে কাঠ করে খোলা বাজারে চালান করে দেওয়া হয়৷ আবার কোন কোন সময় ঐ কাঠ সীমান্তের ওপারেও পাচার হচ্ছে৷ কখনো কখনো বন দপ্তরের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে নামকাওয়াস্তে সাফল্য পাচ্ছে৷ যদিও, বন দপ্তরের একাংশ কর্মীদের বিরুদ্ধেও ঘোষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে৷ তবে বন দপ্তরের চড়িলাম রেঞ্জের আধিকারীকদের একাংশ রীতিমতো কোমড় বেধে মাঠে নেমেছেন ঐসব বনদস্যুদের বিরুদ্ধে৷
শনিবার দুপুর দুইটা নাগাদ বিশালগড় থানার অধীন নবীনগর এলাকায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালায় চড়িলাম রেঞ্জের অফিসাররা৷ সেখানে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে মূল্যবান গাছের লগ৷ উদ্ধার করা লগ বনদপ্তরের কর্মীরা চড়িলাম রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায়৷ তবে, বনদস্যুদের কাউকেই সনাক্ত করা যায়নি৷ এদিকে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দপ্তরের কর্মীদের অভিযানের আঁচ পেয়ে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়৷ প্রশ্ণ উঠেছে, যতবারই বন দপ্তরের কর্মীরা অভিযান চালাচ্ছে তাতে দেখা যায় বনজ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হলেও বনদস্যুদের টিকির নাগালও মিলেনা কেন৷ অভিযোগ উঠেছে, বন দপ্তরের মধ্যেই একাংশ কর্মী ‘বিভীষণ’ এর ভূমিকা পালন করছেন৷ তারাই বনদস্যুদের কাছে গোপনে বার্তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন এবং অভিযানের কথা জানতে পেরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷
এদিকে, রাজধানী আগরতলা শহরের কাছাকাছি বেশ কিছু এলাকায় গোপনে চলছে কাঠ চেড়াই৷ অবৈধ ভাবে স মিল বসিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে নিয়ে আসা হচ্ছে ঐসব স মিলে৷ সেখানে গাছের লগগুলিকে চেড়াই করে কাঠ করা হচ্ছে৷ তুলকোনা, মহেশখলা, জারুলবাচাই, শ্রীনগর, ধুপছড়া প্রভৃতি এলাকায় এই ধরনের প্রচুর সংখ্যায় স মিল রয়েছে৷ যেগুলি রাতের অন্ধকারে চলে৷ সূর্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই স মিল বন্ধ হয়ে যায়৷ বিভিন্ন গাড়িতে ঐ স মিল জেনারেটর দিয়ে চালানো হচ্ছে৷ এই ব্যপারে বন দপ্তরের কর্মীরা অবগত নয় তা মানতে নারাজ তথ্যাভিজ্ঞ মহল৷ তবে, অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগেরই একাংশ কর্মীদের প্রচ্ছন্ন মদতে ঐসব স মিল গুলির রমরমা৷ এছাড়া স্থানীয় থানাগুলিকে মাসোয়ারার ভিত্তিতে এই স মিল ও গাছ কাটার ব্যবসা চালানো হচ্ছে৷ এদিকে, যদিও বন দপ্তরের কাজকর্মে গতি আনার জন্য দফায় দফায় বনকর্মী ও অফিসার নিয়োগ চলছেই৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *