নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের উপর এবার কড়া নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের পর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন প্রকল্পে রিয়েল টাইম পর্যবেক্ষণ সিস্টেম (এমআইএস পোর্টাল) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ রাজ্য প্রশাসনের জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্য সরকার কৃষিক্ষেত্রের দশটি প্রকল্পে কেন্দ্র থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে৷ এগুলির মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চন যোজনা, মিশন ফর ইন্টিগ্রেটেড হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট, কৃষি ও কৃষি ব্যবস্থা সেন্টার, কৃষি মিশনের উপর যান্ত্রিকীকরণ উপমিশন, এক্সটেনশন রিফর্মস’র জন্য রাজ্যকে সহায়তা, বীজ এবং গাছ ও রোপণ উপাদানের উপমিশন, কৃষকের স্বল্পমেয়াদি ঋণ সুদের ওপর ভর্তুকির উপমিশন, শস্য বীমা প্রকল্প, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা মিশন এবং কৃষি সহযোগিতার উপর সুসংহত প্রকল্প৷
সূত্রের খবর, রাজ্য প্রতিবছর গড়ে সাড়ে বারশ কোটি টাকা বাজেট সহায়তার অতিরিক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পেয়ে থাকে৷ সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কাছে একটি চিঠিতে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দীনেশ কুমার এবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে দশটি স্কিমে সবকটির প্রতিবেদন অনলাইনে পাঠাতে বলেছেন৷ পাশাপাশি রাজ্যকে সুবিধাভোগী এবং সহায়তা প্রাপক, প্রকল্প বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে সেন্ট্রাল এমআইএস পোর্টালে বিস্তারিত আপলোড করতেও বলেছেন৷ অন্যথায়, রাজ্য সরকারকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিস্তারিত তথ্য নিজস্ব পোর্টালে আপলোড করতে হবে৷ সূত্রের বক্তব্য, কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থের পুরো হিসেব চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে উপকারিতা কি মিলেছে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে৷
সূত্র অনুসারে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ মহাকরণ সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব আয়েঙ্গারকে দায়িত্ব দিয়েছেন এযাবতীয় সমস্ত দিক দেখার জন্য৷ মহাকরণ সূত্রে আরো দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে৷ কারণ, এই ক্ষেত্রে রাজ্যের আধিকারিকদের তেমন কোন ধারণা আপাতত নেই৷ জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মন্ত্রকের নির্দেশ মান্য করতেই হবে৷ কিন্তু রিয়েলটাইম পর্যবেক্ষণ সিস্টেম করার জন্য কিছু সময় লাগবে৷ সূত্র অনুসারে জানা গেছে, কৃষি দপ্তরের তরফে খুব শীঘ্রই আরো সময় দাবি করে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হবে৷
2017-01-11